মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

এমডির সঙ্গে দ্বন্দ্বে পদত্যাগ করলেন সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সঙ্গে দ্বন্দ্বে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. এ এইচ এম হাবিবুর রহমান। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মেয়াদপূর্তির আট মাস আগেই নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। ১৯ এপ্রিল ব্যাংকের পর্ষদে নিজের পদত্যাগপত্র দেন হাবিবুর রহমান, যা গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের হাবিবুর রহমানকে তিন বছরের জন্য সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার মেয়াদ ছিল।
ড. হাবিবুর রহমান পদত্যাগের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কারণেই পদত্যাগ করেছি। সরকার আমাকে নিয়োগ দিয়েছিল একটি ভালো প্রতিষ্ঠান হিসেবে সোনালী ব্যাংককে গড়ে তুলতে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে আমি নানাভাবে চেষ্টা করেছি অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে, খেলাপি ঋণ কমাতে। এখন সময় দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাই পদত্যাগ করেছি।’  ব্যাংকের এমডি প্রদীপকুমার দত্ত বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান তার নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তার কী ধরনের সমস্যা আছে আমি বলতে পারব না।  ব্যাংকের কোনো অনিয়ম বা অন্য কিছুর কারণে পদত্যাগ করেছেন এমনটি সত্য নয়।’ ব্যাংকের একাধিক পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক মাস ধরেই ব্যাংকের এমডির সঙ্গে নানা বিষয়ে চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব চলছিল।
 এর মধ্যে ঋণ ব্যবস্থাপনা, পর্ষদকে না জানিয়ে ঋণ প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়ম রোধে চেয়ারম্যান বাধা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। ২০১২ সালে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর হলমার্ক কেলেঙ্কারিসহ ব্যাংকের নানা অনিয়ম রোধে পর্ষদ বিভিন্ন সুপারিশ করে।
ব্যাংক প্রশাসন এসব সুপারিশ আমলে না নিয়ে তাদের ইচ্ছামতো ঋণ মঞ্জুর করেছে। এমনকি অনাদায়ী খেলাপির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পর্ষদকে না জানিয়ে ঋণ মঞ্জুর করায় গত জানুয়ারি মাসে পর্ষদ সভায় এমডির কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়। তিনি পর্ষদের কোনো কৈফিয়তের জবাব দেননি বলে একাধিক পরিচালক জানিয়েছেন। এসব বিষয়ে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান দীর্ঘ দিন থেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন।

সর্বশেষ খবর