সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত

আপিলেও প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না কাদের সিদ্দিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও সফল হলেন না কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী। এর আগে খেলাপি ঋণের কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলেন কাদের সিদ্দিকী ও নাসরিন সিদ্দিকী। গতকাল সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও চার নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে অংশ নিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসির কাছে কাদের সিদ্দিকী তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বিকালে ইসি তার আপিল খারিজ করে দিয়ে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। এ রায়ের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার উপ-সচিব মহসিনুল হক সাংবাদিকদের জানান, তাদের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আপিল আবেদন খারিজ হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে। অন্যদিকে সিদ্দিকী দম্পতির আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, রায়ের ফলাফল নিয়েও ইসি লুকোচুরি করেছে। এর আগে সব সময় রায় সরাসরি ঘোষণা করলেও এবার লিখিত আবেদন করে ফলাফল জানতে হয়েছে। তিনি বলেন, জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে ঋণ খেলাপি দেখানো হয়েছে। কিছু অসাধু কর্মকর্তা এটা করেছেন। প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করায় টাঙ্গাইল-৪ আসনের এই উপ-নির্বাচন হচ্ছে। এ ভোটে প্রার্থী হতে কাদের সিদ্দিকী ও তার দলের আরও তিনজনসহ মোট দশজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান গত ১৩ আগস্ট বাছাই শেষে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রীসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। ২১ অক্টোবরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় রয়েছে। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ২২ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে প্রচারণা। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১০ নভেম্বর।

সর্বশেষ খবর