সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সুন্দরবন রক্ষার দাবীতে রোডমার্চ সমাপ্ত

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের খুলনা-মংলা সড়কের কাটাখালী মোড়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের দাবিতে ঢাকা-সুন্দরবন রোডমার্চ শেষ হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় রোডমার্চটি খুলনা থেকে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী মোড়ে পৌঁছায়। সড়ক মোড়ের পাশে একটি বক্তৃতা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল।  সন্ধ্যার আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন ছিল পুলিশ। তবে কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই আয়োজকরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তাদের তিন দিনের কর্মসূচি শেষ করেন।

সমাবেশের প্রধান বক্তা গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেন, শিল্পের জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন। তবে সে বিদ্যুৎ পেতে হবে সুন্দরবন ও পরিবেশকে রক্ষা করে। সুন্দরবনের পাশে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবন হারিয়ে যাবে। সুন্দরবন উপকূলের চার কোটি মানুষের জীবিকা নষ্ট হবে। হারিয়ে যাবে বিশাল প্রাণবৈচিত্র্য ও মৎস্যভাণ্ডার। বাম মোর্চার জেলা সমন্বয়ক কমরেড রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বহ্নিশিখা জামাল প্রমুখ। জুনায়েদ সাকি বলেন, আমরাও বিদ্যুতের বিরোধী নই। রামপালের এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সুন্দরবন রক্ষার জন্য। আমরা জাতীয় স্বার্থবিরোধী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেব না। অবিলম্বে রামপালে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু বলেন, পথে পথে হামলা উপেক্ষা করে কর্মসূচি সম্পন্ন করতে এখানে এসেছি। রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। আমরা মানুষ আর প্রকৃতিকে বাঁচাতে লড়াই করছি। সরকারকে ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর