বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ঐশীর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন

আদালত প্রতিবেদক

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় আংশিক যুক্তি উপস্থাপিত হয়েছে। গতকাল ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষে এবং রাষ্ট্রপক্ষ বাদীর উপস্থিতিতে এ যুক্তি উপস্থাপন করেন। পরে বাকি যুক্তি উপস্থাপনের জন্য বিচারক সাঈদ আহমেদ আগামী ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এর আগে মামলার বাদী মসিউর রহমান রুবেল আদালতে সাক্ষ্য দেন, এই মামলার এজাহারের অভিযোগ তিনি (মসিউর) নিজ হাতে লেখেননি। এজাহারে কারোর নাম উল্লেখ করেননি বাদী। ঐশীর বাবা-মায়ের বিয়ে হয় ১৯৯৪ সালে। তার দুই বছর পরে ঐশীর জন্ম হয়। এ কারণে ঐশীর পক্ষে তার আইনজীবী তুহিন হাওলাদার ও মাহবুব হাসান রানা আদালতকে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে ঐশী রহমানের বয়স উল্লেখ করেছেন ১৯ বছর। এছাড়া ঐশীর জন্ম সনদ ও বাদীর সাক্ষ্য অনুযায়ী ঘটনার সময় তার বয়স প্রায় ১৭ বছর।  শিশু আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে সবাই শিশু। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ তাকে প্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়ে এই আদালতে বিচার কার্য পরিচালনা করছেন। আসলে ঐশী রহমান একজন শিশু। আইন অনুযায়ী তার বিচার শিশু আদালতে হওয়া উচিত ছিল। এ কারণে তাকে কারাগারে আটক না রেখে কিশোরী সংশোধন কেন্দ্রে রাখা উচিত ছিল। রাষ্ট্রপক্ষ তা করেনি। এ ধরনের যুক্তি ঐশীর পক্ষে-বিপক্ষে আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ সময় আসামি ঐশী রহমান, তার দুই বন্ধু আদালতে হাজির ছিলেন। এর আগে মামলাটিতে মোট ৫৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এছাড়া মামলার অপর আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি নাবালক হওয়ায় শিশু আদালতে তার বিচার চলছে।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চ্যামেলীবাগের বাসায় পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান খুন হন। মাহফুজ পুলিশের বিশেষ শাখার রাজনৈতিক অধিশাখায় কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী স্বপ্না এবং দুই ছেলে মেয়ে ও এক শিশু গৃহকর্মী নিয়ে চ্যামেলীবাগের বাসায় থাকতেন। ঐশী ধানমন্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ও লেভেলের শিক্ষার্থী ।

সর্বশেষ খবর