শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল কৃষিকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে রাজশাহীর মানুষ

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহীর অর্থনীতির চালিকা শক্তি মূলত কৃষি। কৃষিজাত পণ্য সারা দেশের বাজারে সরবরাহ করলেও এ অঞ্চলের চাষিরা ছিলেন বঞ্চিত। কৃষিপণ্যের বাজার দখলে থাকে মধ্যস্বত্বভোগীদের। কিন্তু সরকারের নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনায় কৃষিকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন রাজশাহীর চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

রাজশাহীর পবায় নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠলে কৃষিকে ঘিরে নতুন কল-কারখানা গড়ে উঠবে। এতে করে চাষিরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজেই সেখানে সরবরাহ করতে পারবেন। এছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঘিরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। ফলে পণ্যের সরবরাহ সহজ হবে। রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের দেওয়া তথ্য মতে, রাজশাহীর পবা উপজেলার কয়ড়া, জয়কৃষ্ণপুর, মাড়িয়া, বালানগর ও ভবানীপুর মৌজা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গড়ে তোলা হবে। ২০৪ দশমিক ০৬ একর জমি নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গড়ে উঠবে। এর মধ্যে সরকারি খাস জমি ১ দশমিক ৬৬ একর। ২০২ দশমিক ৪০ একর জমি সরকার অধিগ্রহণ করবে। জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬ কোটি টাকা। রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান জানান, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগে কৃষি নির্ভর রাজশাহীর অর্থনীতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটতে যাচ্ছে। দুটি দেশের বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানি রাজশাহীতে বিনিয়োগ করছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় একটি কোম্পানি তাদের মোটরযান কারখানা চালু করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি কোম্পানির রাজশাহীতে বিনিয়োগের প্রক্রিয়া অনেকদূর এগিয়েছে। এছাড়া  আগামীতে একটি চায়না কোম্পানির রাজশাহীতে বিনিয়োগ করার সম্ভাবনা আছে। সরকারের নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করা গেলে অন্য দেশের বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহী হবে। এতে করে রাজশাহী অঞ্চলে কর্মসংস্থান বাড়বে। রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলী জানান, প্রতিবছর রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাজার কোটি টাকার আম উৎপাদন হয়। কিন্তু আমকে ঘিরে এখানে কোনো শিল্প গড়ে উঠেনি। ফলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ আম নষ্ট হয়ে যায়। নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমকে ঘিরে কোনো শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।

সর্বশেষ খবর