সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির উখিয়ার ঘুমধুমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক পরিদর্শনকে সামনে রেখে কক্সবাজার থেকে উখিয়া পর্যন্ত খানা-খন্দকে পরিপূর্ণ সড়ক শুক্র থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত কাজ করে সব ঠিকঠাক করে ফেলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের শ্রমিকরা। তবে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মন্ত্রী সীমান্ত এলাকা ঘুরে উখিয়া ত্যাগ করার পরপরই সড়কের সেই পুরনো চেহারা আবারও ভেসে ওঠে।

উপজেলাভিত্তিক বিভিন্ন যানবাহনের শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, কক্সবাজার-টেকনাফ ৭৯ কিলোমিটার সড়কটি দেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। যেহেতু এই সড়কপথে বাণিজ্য চুক্তির আওতায় টেকনাফ বন্দর দিয়ে আসা কোটি কোটি টাকার মালামাল দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হচ্ছে। পাশাপাশি টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও উখিয়ার ইনানী বিচের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে ছুটে আসছেন হাজারো দেশি-বিদেশি পর্যটক। এ খাতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়সহ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হলেও সড়ক সংস্কারে তেমন উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট বিভাগ। শনিবার সকাল ১০টার দিকে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি সীমান্তের ঘুমধুমে বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক পরিদর্শনে আসেন। তার পরিদর্শনকে সামনে রেখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত উখিয়া-কক্সবাজার সড়কপথের বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দকে একাকার সড়কটি জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক ও কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলেই সড়ক সংস্কার ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ-কালভার্টগুলো নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।