সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

‘ছিটমহলবাসীর’ জন্য বিশেষ আইনবিধি প্রয়োজন : টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ছিটমহলের’ জনগণের জন্য ভূমি সংক্রান্ত ও অন্যান্য জটিলতা দূরীকরণে বিশেষ আইন প্রণয়ন সম্ভব না হলেও বিশেষ আইন বিধি প্রণয়ন করা উচিত। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, এএলআরডি ও টিআইবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত জায়গা হচ্ছে ভূমি সংক্রান্ত বিভাগগুলো। আমাদের বিভিন্ন জরিপ পর্যালোচনায় এমনটাই দেখা গেছে। সম্প্রতি ছিটমহলের মানুষদের জমি সংক্রান্ত জটিলতা দেখা যাচ্ছে। সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ছিটমহলবাসী দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। আমি বিশ্বাস করি সরকার আন্তরিক হলে তারা আর অবহেলায় থাকবেন না। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী দুর্বল জনগোষ্ঠী হওয়ায় প্রথমবারের মতো জরিপে তাদের ভূমি হারানোর শঙ্কা রয়েছে। ভূমি সঠিকভাবে বণ্টন হবে কি না, বা ছিটমহলবাসী সঠিকভাবে জমি পাবে কিনা  তা এখন চিন্তার বিষয়। প্রভাবশালীরা ইতিমধ্যে জমি দখলের জন্য কূটকৌশল শুরু করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা ভারতে চলে যাচ্ছেন তাদের জমি কেনা-বেচা কীভাবে হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা তৈরি করতে এ সময় ছিটমহলের মানুষের জন্য বিশেষ ভূমি ট্রাইব্যুনাল গঠন প্রয়োজন। ছিটমহলবাসীদের জন্য জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সরকারের ভূমি ট্রাইব্যুনাল গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে। গণআদমশুমারিতে বাদ পড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের জমি তাদের নামে রেকর্ডভুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

এলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা লিখিত বক্তব্যে বলেন, সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে ভূমি নিয়ে বিদ্যমান সমস্যা ও বিরোধের প্রকৃতি নিরূপণ অপেক্ষাকৃত জটিল রূপ ধারণ করেছে। এদের অধিকাংশেরই জমির দলিলপত্র নেই। এ অবস্থায় প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ভূমি জরিপ সম্পন্ন হলে ছিটমহলবাসীর শেষ সম্বল ভূমি হারানোর শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তিনি বলেন, জরিপ কাজে মাঠপর্যায়ে তথ্যসংগ্রহের সময় দালাল ও প্রভাবশালীদের দৌরায বাড়বে। এ জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পর্যাপ্ত লোকবল মোতায়ন করতে হবে। পাশাপাশি কর্তব্যে অবহেলা, দুর্নীতি, অনিয়মের জন্য জবাবদিহির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

সর্বশেষ খবর