বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
আদালতে স্বীকারোক্তি

নববধূ রোশনই রাসেলের খুনি

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

শুরুর দিন থেকেই সংসারে ভাঙনের সুর উঠে তাদের। বাসর রাত থেকেই স্বামীর সঙ্গে বিরোধ শুরু হয় রোশন বেগমের। এমনকি হাতাহাতিও হয়েছে কয়েক দফা। শেষে বিয়ের চার দিনের মাথায় স্বামীকে হত্যাই করেন রোশন বেগম। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর নিজেই লাশ টেনেহিঁচড়ে গলিতে ফেলে দেন। আদালতে এমনই স্বীকারোক্তি দিলেন রোশন বেগম। গতকাল দুপুরে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাহেদুল করিমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। আদালতে রোশন বেগম বলেন, বিয়ের রাত থেকেই স্বামী রাসেলের সঙ্গে তার বনিবনা হয়নি। রাসেল তাকে গালিগালাজ করতেন। এমনকি মাকে তুলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। সোমবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বাধে। একপর‌্যায়ে উত্তেজিত হয়ে রাসেলের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধরেন রোশন। কিছুক্ষণ পর রাসেল নিস্তেজ হয়ে ঢলে পড়েন। জানা যায়, শুক্রবার সিলেট নগরীর বাগবাড়ীর নরশিংটিলা ১২৯ নম্বর বাসার বাসিন্দা রাসেল আহমদের সঙ্গে বিয়ে হয় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মণ্ডলপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার মেয়ে রোশন বেগমের। বিয়ের চার দিন পর মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশের গলি থেকে রাসেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। শুরু থেকেই পুলিশের সন্দেহ হয় স্ত্রী রোশন বেগমের প্রতি। জিজ্ঞাসাবাদের একপর‌্যায়ে রোশন পুলিশের কাছে খুনের ঘটনা স্বীকার করেন।

 সিলেটের কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মোশারফ হোসেন জানান, পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও নানা কারণে বিয়ের দিন থেকেই সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না নবদম্পতির।

রোশন বেগম পুলিশের কাছে বলেন, সোমবার রাতে তর্কাতর্কির একপর‌্যায়ে রাসেল রোশনের গলা চেপে ধরলে পাল্টা রোশন বেগম ওড়না দিয়ে রাসেলের গলা পেঁচিয়ে ধরেন। ধস্তাধস্তির একপর‌্যায়ে রোশন দেখতে পান রাসেল ঢলে পড়ে গেছে। পরে বুঝতে পারেন মারা গেছেন তার স্বামী। রোশন বেগম পুলিশকে জানিয়েছেন, রাসেল মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ফজরের আজান হয়। আর আজানের পর তখনও অন্ধকার ছিল। এ সময় রাসেলের মৃতদেহকে টেনে বাইরে এনে গলির মধ্যে ফেলে দেয়। পরে সে ঘরে চলে যায়।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর