জেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে প্রজম্ন লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২২ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর সার্কিট হাউসের সামনে সুরমারপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় সার্কিট হাউসের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে জেলা যুবলীগ। সমাবেশস্থলে বসা নিয়ে প্রজম্ন লীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক খালেদ ওসমানী অনুসারীদের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরীয়ার আলম সামাদ গ্রুপের নেতা-কর্মীদের হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে রাত সাড়ে ৮টায় প্রধান অতিথি যুবলীগের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতাউর রহমানের বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরপরই খালেদ ওসমানীর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক সমাবেশে হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি সামাদের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সৈয়দ কাওছার, সপু, জাওয়াদ ও খালেদ ওসমানীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২২ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি সোহেল আহমদ। জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ জানান, সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রজম্ন লীগ নেতা খালেদ ওসমানীর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। পরে নেতা-কর্মীরা তাদের প্রতিরোধ করে।