আগামী জানুয়ারি থেকে ভারত, নেপাল ও ভুটানে বাসে যাওয়া-আসা করা যাবে। তবে শুরুতেই বিআরটিসির (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন) বাস চলবে না। কারণ অপ্রশস্ত রাস্তা এবং বিআরটিসির ব্যবস্থাপনার অদক্ষতা। এ অবস্থায় সরকারি এ সংস্থাটি বেসরকারি অপারেটর হিসেবে গ্রিন লাইনকে নিয়োগ দেবে। চিহ্নিত রুটগুলোর দূরত্ব ও রাস্তার অবস্থা দেখতে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ শিগগিরই সমীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিআরটিসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ উপলক্ষে গতকাল ভারতের ভুবনেশ্বরে উদ্বোধন হয়েছে বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) মৈত্রী গাড়ি শোভাযাত্রা।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, তারা যাত্রী পরিবহনের দায়িত্ব দিচ্ছেন গ্রিন লাইনকে। কারণ আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলের উপযোগী বিলাসবহুল বাস তাদের নেই। এ ছাড়া তাদের ছোট বাসও নেই। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলের জন্য চিহ্নিত রুটগুলোর রাস্তা সরু। আর নেপাল ও ভুটানে যাওয়ার জন্য ভারতীয় অংশে সড়কের অবস্থাও নাজুক। স্থানে স্থানে সড়ক অপ্রশস্ত। তাই বড় বাসের বদলে এসব রুটে ছোট বাস বা কোস্টার চালানো যাবে। তবে গ্রিন লাইন বাসে বিআরটিসির লোগো থাকবে। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে সড়কপথে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের জন্য ১৫ জুন ভুটানোর রাজধানী থিম্পুতে বিবিআইএন চুক্তি সই হয়। এর আওতায় জানুয়ারি থেকে চার দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরুর প্রক্রিয়া চলছে। বাস সার্ভিস পরিচালনার জন্য সেপ্টেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত নোডাল অফিসার্স কমিটির সভায় রুটগুলো এবং প্রটোকল চূড়ান্ত হয়। সম্ভাব্য ছয়টি রুট চূড়ান্ত করেছে চার দেশ।