শিরোনাম
বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
গাজীপুরে একনজর দেখতে ভিড়

ঝর্ণাকে কারখানা বানাতে সহায়তা দেবেন ডাচ রানী

নিজস্ব প্রতিবেদক ও টঙ্গী প্রতিনিধি

ঝর্ণাকে কারখানা বানাতে সহায়তা দেবেন ডাচ রানী

গাজীপুরে রানী: বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিনে গতকাল গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানা পরিদর্শনে যান ডাচ রানী ম্যাক্সিমা জরেইয়েতা সেরুতি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিনে গতকাল গাজীপুর গিয়েছিলেন ডাচ রানী ম্যাক্সিমা জরেইয়েতা সেরুতি। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির আওতায় এজেন্ট ব্যাংকিং এটুআই প্রোগ্রামের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের বিষয়গুলো পরিদর্শন ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাপনের মান দেখতেই তিনি গতকাল গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে আসেন। এ সময় তিনি ঝর্ণা ফ্যাশন হাউসের মালিক ঝর্ণার তৈরি করা পোশাক দেখে খুশি হয়ে কারখানা স্থাপনে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় অবস্থিত শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা ভিয়েলাটেক্স পরিদর্শনে আসেন রানী। কারখানা শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা গ্রহণের বিষয়ে কথা বলেন। এরপর গাজীপুর জেলার শ্রীপুর রাজাবাড়ীতে যান। সেখানে ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সার্ভার সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং ব্র্যাকের আওতাধীন এটুআই ও বিকাশ এজেন্ট অফিস উদ্বোধন শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় টঙ্গীর দত্তপাড়া হাজী মার্কেট এলাকায় ঝর্ণা ফেব্রিকস অ্যান্ড ফ্যাশন হাউসে কিছু সময় অবস্থান করেন। এ সময় নারী উদ্যোক্তা ঝর্ণা ইসলামের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে ঝর্ণা ফ্যাশন হাউসের মালিক ঝর্ণার তৈরি পোশাক থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, সালোয়ার কামিজ ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় তৈরি পোশাক ডিজিটাল পদ্ধতি ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার করে ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক স্থাপনের বিষয়েও কথা বলেন এবং তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

এ ব্যাপারে ঝর্ণা ইসলাম বলেন, ১৯৯৮ সালে আর্থিক সহযোগী ব্র্যাকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একটি সেলাই মেশিন কিনে পোশাক তৈরি করে ব্যবসা শুরু করি। এরপর আস্তে আস্তে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ছড়িয়ে পড়ে। এরপর প্রায় দুই মাস আগে ভিয়েলাটেক্স কারখানায় একটি সেমিনারে আমাকে নিমন্ত্রণ করা হয়। সেখানে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আমার তৈরি পোশাক দেখে পছন্দ করেন। তিনি ২ হাজার ৫০০ টাকায় একটি  লেহেঙ্গা কিনে নেন। সেই পোশাক রানী ম্যাক্সিমাকে দেখালে তারও পছন্দ হয়। সেই সূত্র ধরেই তিনি আমার কারখানায় তৈরি পোশাক দেখতে আসেন এবং আমার খোঁজখবর নেন। রানী আমাকে একটি ফ্লোর নিয়ে  পোশাক তৈরি করতে যা যা লাগে সবকিছু দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

ঝর্ণা ফ্যাশন হাউসে থাকাকালীন রানীকে একনজর দেখতে ভিড় জমান এলাকাবাসী। রানীও গাড়ি থেকে হাতের ইশারায় টঙ্গীবাসীকে অভিনন্দন জানান। পরিদর্শনের সময় রানী ম্যাক্সিমার সঙ্গে তার একান্ত প্রেস সচিব মেরিনি উইলজার, ইউএনডিপির কর্মকর্তা ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিকালে ঢাকায় ফিরলে ডাচ রানীর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। পরে তিনি মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে একটি সেমিনারে অংশ নেন।

নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমা আজ সন্ধ্যায় ঢাকা ত্যাগ করবেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে রানীর। দুপুরে তিনি সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিকালে তার সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর