বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

পাহাড় কেটে সড়ক নির্মাণ বন্ধে কক্সবাজার পৌর মেয়রকে নোটিস

কক্সবাজার প্রতিনিধি

পাহাড় কেটে কক্সবাজার শহরের রুমালিয়াছড়া-সমিতি বাজার বাইপাস সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধে পৌর মেয়র সরওয়ার কামালকে নোটিস দিয়েছেন পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার অফিসের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম। সেই সঙ্গে প্রকল্পে নিযুক্ত ঠিকাদারের নাম-ঠিকানা এবং কার্যাদেশ প্রদান সংক্রান্ত কাগজপত্র সরবরাহের জন্য পৌর মেয়রকে অনুরোধ করেছেন।  একই সঙ্গে কেন মেয়র সরওয়ারের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদফতরের এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক মামলা ও পরিবেশ আইনের ৭ ধারায় ক্ষতিপূরণ/জরিমানা আদায় করা হবে না তা আগামী ২৪ নভেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। ১৬ নভেম্বর সোমবার পরিবেশ অধিদফতরের স্মারক নম্বর- পঅ/কঃজেঃকাঃ/পাহাড় কর্তন/০৯২/ ২০১১/৫৩৮ মূলে চিঠিটি তিনি পৌর মেয়র বরাবর পাঠিয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ আছে, পাহাড় কাটার বিষয়টি ১৬ নভেম্বর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচিত হয়। সভায়  পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কোনো সরকারি প্রকল্পে পাহাড় কাটা বা ড্রেসিং না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর আগে ১১ নভেম্বর পরিবেশ অধিদফতরের একটি টিম পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন বলে জানান সরদার শরীফ।

 

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬-খ ধারা অনুসারে, ‘কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করা যাইবে না।  তবে শর্ত থাকে যে, অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে অধিদফতরের ছাড়পত্র গ্রহণক্রমে কোনো পাহাড় বা টিলা কর্তন বা মোচন করা যাইতে পারে।’

সরদার শরীফ জানান, উপরোক্ত প্রকল্পের অনুকূলে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ব্যতিরেকে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

ইতিপূর্বে লাইট হাউস ও ঘোনারপাড়া এলাকায় পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ব্যতিরেকে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ এবং সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি অবৈধ দখলদার সৃষ্টিতে সহযোগিতা করছেন বলে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন পরিবেশ অধিদফতরের এ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল বলেন, রাস্তাটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে পৌরসভার টেন্ডার বা ওয়ার্ক অর্ডার নেই। এমনকি পৌরসভার কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও রাস্তা নির্মাণের সঙ্গে জড়িত নয়।

তিনি আরও জানান, ওই জায়গাটি পৌরসভার আওতার বাইরে। এটি ঝিলংজা মৌজায় পড়েছে। ২০০৫ সালে পাহাড়টি কাটা হয়। বর্তমানে স্থানীয়রা মিলেমিশে ইট বসাচ্ছে। এতে পৌরসভার সম্পৃক্ততা নেই।

তা ছাড়া রাস্তাটি নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান। এতে পৌরসভাকে দায়ী করার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সর্বশেষ খবর