বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

পাটপণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধার চেষ্টা হচ্ছে

---- মির্জা আজম

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোয় শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত পাটজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে। কিন্তু আমরা রপ্তানি করতে গেলে শুল্ক দেওয়া লাগে। আমরাও যাতে ওই দেশগুলোয় শুল্কমুক্ত সুবিধায় পাটজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি, সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ছাড়া যে দেশগুলোয় পাটজাত পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে বা কম হচ্ছে, সেসব দেশে আবারও যাতে ভালোভাবে পাটজাত পণ্য রপ্তানি করা যায়, সে চেষ্টাও করছে সরকার।

গতকাল সকালে যশোরের অভয়নগরে আকিজ জুট মিল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধের কারণে এখন পর্যন্ত পাটের বাজারদর কমেনি, বরং উঠতির দিকে আছে। বাজারদর যাতে স্থিতিশীল থাকে, সে কারণেই এক মাসের জন্য রপ্তানি বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা কিছু তথ্য অনুসন্ধান করছি। সঠিকভাবে তথ্যগুলো পেলে রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে পারি। প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম আরও বলেন, পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং অ্যাক্ট নামে সুন্দর একটি আইন হয়েছে।

ধান, চাল, গম, ভুট্টা, চিনি, সারÑ এ ছয়টি পণ্যে বাধ্যতামূলকভাবে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে বছরে ৫৫ কোটি পাটজাত ব্যাগের প্রয়োজন হবে। এসব ব্যাগ তৈরিতে প্রয়োজন হবে ৩ লাখ টন পাট। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাটজাত পণ্য এতদিন রপ্তানিনির্ভর ছিল, এখন অভ্যন্তরীণ বাজারেও এর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে। এভাবেই পাটকল মালিক, শ্রমিক ও পাট চাষিদের সুদিন ফিরবে, তাদের মুখে হাসি ফুটবে।

সর্বশেষ খবর