মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মেয়র থাকাকালে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে এমপি বদির দায়মুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

টেকনাফ পৌরসভার মেয়র থাকাকালে দুর্নীতির একটি অভিযোগ থেকে কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে অব্যাহতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে অব্যাহতির বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুদক জানায়, মেয়র থাকাকালে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে তাকে দায়মুক্তি দিলেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বদির বিরুদ্ধে দুদকের করা একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আবদুর রহমান বদি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। টেকনাফ পৌরসভার মেয়র থাকাকালে তার বিরুদ্ধে পৌরসভার রাজস্ব ও উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। একই অভিযোগ ছিল টেকনাফ পৌরসভার প্রকৌশলী লতিফুর রহমান ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার ইসমাইলের বিরুদ্ধে। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক।

দীর্ঘদিন অভিযোগটি ফাইলচাপা থাকার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে কমিশন থেকে পুনরায় দুদকের চট্টগ্রাম-২-এর সমন্বিত জেলা কার‌্যালয়কে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার‌্যালয়, চট্টগ্রাম-২-এর সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান অভিযোগটির অনুসন্ধান করেন।

অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে দালিলিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ না করতে পারায় নথিভুক্তির (অব্যাহতি) জন্য কমিশনের কাছে সুপারিশ করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। কমিশন যাচাই-বাছাই করে অব্যাহতির পক্ষে সুপারিশ করে। এর ফলে ওই অভিযোগ থেকে বদিসহ অন্য অভিযুক্তরা অব্যাহতি পেয়েছেন। এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেও বদির বিরুদ্ধে দুদকের করা একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখাতে কম দামি সম্পদের দাম বেশি (১ কোটি ৯৮ লাখ তিন হাজার ৩৭৫ টাকা) দেখানোর অভিযোগে গত বছরের ২১ আগস্ট বদির বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক। চলতি বছরের ৬ মে ওই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়। এতে বদির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহিভর্‚ত ছয় কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে দেওয়া সম্পদের বিবরণীতে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার কথা বলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর