ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) চলতি বছর ২৪ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। এসব বাংলাদেশির বিরুদ্ধে বিএসএফ গরু পাচারের অভিযোগ তুলেছে। সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে এ ইস্যুটি তুলে ধরা হয়। ভারতের একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাঠানো বন্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন হাটে বিক্রির জন্য আনা গরুর সংখ্যা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে যা বলা হয়, তা প্রকৃত সংখ্যা নয় বলে মনে করে বিএসএফ। বিএসএফের মহাপরিচালক ডি কে পাঠক জানান, বাংলাদেশের পশুর হাটগুলো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৩ সালে ভারত থেকে আনা প্রায় ২২ লাখ গরু বিক্রি হয়েছে। ২০১৪ সালে ওই সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ। কিন্তু চলতি বছর তা কমে দাঁড়ায় মাত্র সাড়ে চার লাখে।
আরেকজন ভারতীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সীমান্তে ‘গরু পাচার’ বন্ধে অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তার দাবি, গরু ‘পাচারকারী’ নিহত হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত দুই পাশেই হয়েছে। তারা (বাংলাদেশ) এটাকে ব্যবসা হিসেবে দেখে। এতে বেআইনি কিছু দেখে না।