শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

এখন উন্নয়ন প্রকল্প-ভিজিএফ কার্ড নয়

ইসির অনুমতি ছাড়া কর্মকর্তা বদলিতে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পৌর নির্বাচনী এলাকায় ভোটের সময় কোনো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন, অনুদান, বরাদ্দ বা অর্থ ছাড় না দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে নির্বাচনপূর্ব সময়ে ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্ড দেওয়া এবং ত্রাণ বিতরণ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগকে। ২৪ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৫ পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ইসির সহকারী সচিব রাজীব আহসান জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় প্রকল্প অনুদান, ফলক উন্মোচনসহ উন্নয়ন বরাদ্দ, ত্রাণ বিতরণ ও অর্থ ছাড়ে বাধানিষেধ রয়েছে। বিষয়টি যথাযথভাবে অনুসরণে চার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, উন্নয়নমূলক প্রকল্প, অর্থ ছাড়, বিভিন্ন কার্ড বিতরণে ভোটাররা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কায় বিধিতে ভোটের সময় এসব বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া রয়েছে। ইসির অনুমতি ছাড়া কর্মকর্তা বদলি নয় : তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে ভোট-পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি না করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। ইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ চিঠি দেওয়া হবে।

‘নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ইসির থাকবে’ : এবারের পৌর নির্বাচন পুরোপুরিভাবে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে যদি কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকে, এবার সে সুযোগ দেওয়া হবে না। এবার নির্বাচনে পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকরা থাকবেন। সবার নজরদারিতে ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকবে আমাদের। গতকাল বিকালে শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। বর্তমান ইসির অধীনে দশম সংসদ, উপজেলা, সিটি ভোট হয়েছে। সর্বশেষ ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটিতে কেন্দ্র দখল, গোলযোগসহ নানা ধরনের অভিযোগও উঠে। শেষ মুহূর্তে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দেন। জাবেদ আলী জানান, এ নির্বাচনেও পর্যাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গোয়েন্দা সদস্য মাঠে থাকবে। কোথাও কোনো ত্রুটি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। প্রার্থী হওয়ার পরে তাদের অসুবিধাগুলো দেখব আমরা। যদি কোনো প্রার্থী অভিযোগ নিয়ে আসেন, তাহলে প্রার্থীকে প্রার্থী হিসেবেই দেখা হবে; দল ও প্রতীক সেক্ষেত্রে বিবেচিত হবে না। তিনি জানান, নিবন্ধিত দলগুলো প্রতীক পাবে। অনিবন্ধিত দলের রাজনীতি করায় কোনো বধা নেই। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারে। নির্বাচনী ব্যয় ইসির বেঁধে দেওয়ার সীমার মধ্যে করার তাগিদ দেন তিনি। জাবেদ আলী বলেন, আমরা মনিটরিং করব। নির্ধারিত সময়ে ইসির কাছে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবও জমা দিতে হবে। প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে হওয়ায় এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতা চান এ নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, শুধু সরকার নয়, সবাইকে নিয়ে পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করে তোলা হবে। সংবিধানে বলা আছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসিকে নির্বাচন করার জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

সর্বশেষ খবর