বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

চসিকের ১২৪ প্রত্যাশায় সাড়া মিলেছে ৩০টির!

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগর উন্নয়নে সরকারি-আধাসরকারি ২৮ সংস্থার কাছে ১২৪টি বিষয়ে দৃশ্যমান সাড়া প্রত্যাশা করেছিল। এরমধ্যে মাত্র ১৭টি সংস্থা ৩০টি বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। এর মধ্যে ৮টি বিষয় প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া কয়েকটি সংস্থার কাছে পাওনা আংশিক রাজস্ব আদায় ও কয়েকটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা যায়।  গতকাল দুপুরে চসিকের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় এসব প্রত্যাশার অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, সিএমপি কশিমনার আবদুল জলিল মণ্ডল, জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শফিউল আলমসহ ২৮ সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  এর আগে ১২ আগস্ট ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক প্রথম সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সিটি মেয়র বলেন, নগরীতে কোনো সমস্যা হলেই সব দায়ভার আমার কাঁধে আসে। জনগণ এ ব্যাপারে আমার কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা করেন। কিন্তু আমাদের তো অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তাই সরকারি, বেসরকারি ও আধাসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে চট্টগ্রামকে আধুনিক নগরীতে রূপান্তর করতে হবে। এখানে করপোরেশনের পক্ষে একা সব কিছু করা অসম্ভব। তিনি বলেন, যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসন, ভরাট খাল খনন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার, আবর্জনা অপসারণে নতুন নিয়ম চালুসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

ইতিমধ্যে চাওয়া প্রত্যাশার অগ্রগতির মধ্যে রয়েছে— সিএমপি, চউক, জেলা প্রশাসন, গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড, স্বাস্থ্য অধিদফতর, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রেলওয়ে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজস্ব আদায়।

১০০ একর ভূমি চেয়ে বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে ভূমি প্রতিমন্ত্রীর কাছে চিঠি। ভূমি অধিগ্রহণ ও হস্তান্তরে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা,  ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স প্রাপ্তি ও সিসিসি ক্যামেরা স্থাপনে সহযোগিতা, বিদ্যুত্ লাইন ও বাতি রক্ষাণাবেক্ষণে সিডিএ’র প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে বলে জানানো হয়।

সর্বশেষ খবর