বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অস্ত্রসহ দুই ছাত্রলীগ নেতা আটক

ভাটারায় চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

অস্ত্রসহ দুই ছাত্রলীগ নেতা আটক

অস্ত্রসহ আটক দুই ছাত্রলীগ নেতা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে অস্ত্রসহ দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান অঞ্জন ও সাবেক সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া। গতকাল রাত ৮টার দিকে জগন্নাথপুর শহীদ আবদুল আজিজ সড়ক থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বড় ছুরি, একটি চাকু, একটি চাপাতিসহ বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় বেলায়েত হোসেন বলেন, গত রবিবার রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা অঞ্জন ও জিয়ার নেতৃত্বে কমপক্ষে ৩০ জন তার হোটেলে এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে না চাইলে পরের দিন আসবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর সোমবার তাদের পক্ষ থেকে উঠতি বয়সী ৭-৮ জন কিশোর এসে তার কাছে ফের ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ওই সময় তিনি ও স্থানীয় লোকজন ওই কিশোরদের আটক করে স্থানীয় মালিক সমিতির অফিসে (জগন্নাথপুর সোসাইটি) নিয়ে যান। সেখানে তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশসহ মালিক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের ওই কিশোরদের মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের কাছে তুলে দেন। মালিক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, গতকাল রাত পৌনে ৮টার দিকে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা অঞ্জন ও জিয়ার নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক লোকজন মিছিল নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সমিতি অফিসে হামলা চালায়। তবে ওই সময় তিনিসহ মালিক সমিতির সদস্যরা পাশ্ববর্তী মসজিদে নামাজে ছিলেন। তখন মসজিদের মাইকে ‘মালিক সমিতির অফিসে হামলা হয়েছে’ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের ধরার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। একপর্যায়ে ওই হামলার নেতৃত্বে থাকা অঞ্জন ও জিয়াকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আটক অঞ্জন ও জিয়া বিএনপির সময় ছাত্রদল করত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তারা ছাত্রলীগের নেতা হয়েছে। এরা আসলে সুবিধাবাদী। এরা এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসা করে। তারা কিশোর বয়সী স্কুল পড়ুয়া ছাত্রদের ব্যবহার করে মাদক ব্যবসা করে। এদের পাল্লায় পড়ে এলাকার শিক্ষার্থীরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এদের সঙ্গে বর্তমান ছাত্রলীগের আরও অনেকে জড়িত।

ভাটারা থানার ওসি নুরুল মোত্তাকিন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। এরপর চাঁদা দাবি ও হামলার অভিযোগে অঞ্জন ও জিয়া নামে দুজনকে আটক করা হয়। এরা স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা বলে জানা গেছে। তারা স্থানীয় বিসমিল্লাহ হোটেলের মালিক বেলায়েত হোসেনের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিল।

সর্বশেষ খবর