বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

বন্ড মাল অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে খোলাবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

কিছু কোম্পানি ঢেউটিন তৈরির আড়ালে বন্ডের অবৈধ মাল খোলাবাজারে বিক্রি করছে। এ ছাড়া সমুদ্রবন্দর থেকে চোরাইপথে মালামাল এনে কম মূল্যে বিক্রি করছে। এতে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন প্রকৃত লৌহ ব্যবসায়ীরা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। একই সঙ্গে এর প্রতিবাদে ১৯ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীসহ সারা দেশের স্টিল সিট এবং কয়েল ব্যবসায়ীদের দোকান ও মোকাম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সরকারের উচ্চমহলে কয়েক দফায় এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ আবুজর গিফারী জুয়েল। এ সময় সভাপতি সিরাজ, সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাসিরউল্লাহ, সদস্য ফরিদউদ্দিন, জুনায়েদ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ফ্লাট রোল্ড প্রোডাক্ট বি.পি, সি.আর, এইচ.আর, জি.পি, কালার সিট ও কয়েল আমদানি করে আসছি। এ শিল্পের সঙ্গে এক কোটিরও বেশি মানুষ জড়িত।

প্রতিবছর আমরা ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে আসছি। কিন্তু কিছু কোম্পানি ঢেউটিন তৈরির আড়ালে বন্ডের অবৈধ মাল খোলাবাজারে বিক্রি করছে। এ ছাড়া সমুদ্রবন্দর থেকে চোরাইপথে মালামাল এনে কম মূল্যে বিক্রি করছে। এতে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন প্রকৃত লৌহ ব্যবসায়ীরা। লৌহ আমদানি পর‌্যায়ে সর্বসাকুল্যে ৬৩ শতাংশ শুল্ক দেওয়ায় ফিনিশড্ প্রোডাক্টের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছি না। একই সঙ্গে সরকারও বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। 

সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি সুপারিশ করেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। তারা বলেন, আমদানি পর‌্যায়ে লৌহ শিল্পের বন্ড সুবিধা বাতিল করতে হবে। আমদানি পর‌্যায়ে সব পণ্যের শুল্কহার সমান করারও দাবি জানান তারা।

সর্বশেষ খবর