শিরোনাম
রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বরিশালের ১৭ পৌরসভায় বিএনপির ‘শত্রু’ বিএনপি

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশালের ১৭ পৌরসভায় বিএনপির ‘শত্রু’ বিএনপি

বরিশাল বিভাগের ১৭ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির শত্রু এখন বিএনপি। কেউ প্রকাশ্যে দল মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধাচরণ করছেন, আবার কেউ প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন। কোথাও কোথাও মান-অভিমান আর পাওয়া-না পাওয়ার হতাশায় নিজেকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। এতে দল মনোনীত বিএনপি প্রার্থীরা অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন। তবে সব পৌরসভায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হামলা, প্রচারণায় বাধা এবং হুমকি-ধমকির অভিযোগও করেছেন ১৭ পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা। শুক্রবার বিকালে নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ে বিভাগীয় পৌর নির্বাচন মনিটরিং সেলের প্রথম সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে এসব অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এবং বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা বিএনপির নেতারা। তবে সব কিছু ছাপিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অংশ হিসেবে সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামার আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সভায় মুলাদী পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী আসাদ মাহমুদ ও গৌরনদীর মেয়র প্রার্থী শরীফ শফিকুল ইসলাম স্বপন অভিযোগ করেন, তাদের উপজেলা ও পৌর কমিটির বেশিরভাগ নেতা মাঠে নেই। ক্ষমতাসীনদের উত্পাতের পাশাপাশি নিজ দলীয় কর্মীদের সহায়তা না পাওয়ায় ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ করেন তারা। বিএনপির একটি অংশ গোপনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেছে। নীরব থাকা নেতাদের মাঠে নামাতে কেন্দ্রের অনেক নেতার কাছে ধরনা দিয়েও ফল পাননি। বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন খান বলেন, মেয়র প্রার্থী মতিউর রহমান মোল্লা আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় প্রচারণায় পিছিয়ে রয়েছেন। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর বলেন, নলছিটি পৌরসভায় নেতা-কর্মীরা দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন না। পাথরঘাটার মেয়র প্রার্থী আইয়ুব মল্লিক বলেন, ক্ষমতাসীনরা পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে, প্রচারে বাধা দিচ্ছে, এমনকি হামলাও করছে। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চান বলেন, নেতা-কর্মীরা আন্দোলন করতে গিয়ে মামলা হামলায় বিপর্যস্ত-হতাশাগ্রস্ত। অনেক মেয়র প্রার্থীর টাকা নেই। অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, অনেকের ধারণা বিএনপি মাঠ থেকে সরে দাঁড়াবে। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব স্পষ্ট করে বলেছেন, শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে থাকতে হবে। অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, নেতা-কর্মীরা হামলা-মামলায় বিপর্যস্ত। সব জায়গায় ফাইটিং ফোর্স করতে হবে। আগামী দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ফাইটিং ফোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিভাগীয় মনিটরিং সেলের আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি বেগম সেলিমা রহমান বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অনেক ক্ষোভ-হতাশা আর শঙ্কা রয়েছে। যে কোনো সমস্যা মনিটরিং সেল সমাধান করবে। অভিমান, ক্ষোভ নিরসন করে ১৭ পৌরসভায় জয় ছিনিয়ে আনতে হবে।

সর্বশেষ খবর