সোমবার, ৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

১১ জানুয়ারি থেকে প্রকৃতি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির কর্মবিরতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যাচ্ছে প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসক, ২৬টি ক্যাডার ও বিভিন্ন ফাংশনাল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সংগঠন প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি। ১১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হবে। একই সঙ্গে কালো ব্যাজও ধারণ করা হবে। জাতীয় বেতন স্কেলের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে সৃষ্ট বৈষম্য এবং বিদ্যমান বৈষম্য নিরসনের দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। গতকাল কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপির সভাপতিত্বে স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এ প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে ক্যাডার কর্মকর্তাদের অষ্টম গ্রেড ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য নবম গ্রেড নির্ধারণ করায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সাধারণত মেধাবীরাই যোগদান করে থাকে, যারা নন-ক্যাডার কর্মকর্তা।

সভায় নেতারা বলেন, সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বন্ধ করায় কর্মকর্তাদের মধ্যে মর‌্যাদাগত ও আর্থিকভাবে চরম বৈষম্য সৃষ্টি হবে। পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি না করে তা বাতিল করার কোনো যুক্তি নেই। এদিকে সরকারের বিশেষ পদ হিসেবে চিহ্নিত উপ-সচিব থেকে সিনিয়র সচিব পর্যন্ত পদগুলোতে সুপারনিউমারারি পদ সৃজন করে অনুমোদিত পদের চেয়ে অধিক সংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। অথচ সুপারনিউমারারি পদ সৃজনের মাধ্যমেও সব ক্যাডার ও সার্ভিসে পদোন্নতির সুষম সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। বেতন স্কেলের মাধ্যমে শিক্ষা ক্যাডারে পদ অবনমন হয়েছে। সিলেকশন গ্রেড বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের চতুর্থ গ্রেড থেকে অবসরে যেতে হবে। সভায় সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহাল এবং সব ক্যাডার ও সার্ভিসে সুপারনিউমারারি পদ সৃজনের দাবি জানানো হয়। সভায় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য কবির আহমেদ ভূঁইয়া, সদস্য সচিব মো. ফিরোজ খান, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মো. মোবারক আলী, সবুর আহমেদ, স ম গোলাম কিবরিয়া, আই কে সেলিমুল্লাহ খন্দকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর