শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্য প্রতিদিন

সারভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস

সারভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস

এটি খুবই পরিচিত একটি রোগের নাম। আমাদের চল্লিশোর্ধ বেশির ভাগ মানুষই এর সঙ্গে পরিচিত। এটি মেরুদণ্ডের হাড় বা কশেরুকার ক্ষয়জনিত রোগ। আমাদের মেরুদণ্ডকে মেডিকেল পরিভাষায় কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন— ঘাড়ের অংশটুকু সারভাইক্যাল স্পাইন, পিঠের অংশকে থোরাসিক স্পাইন, কোমরের অংশকে লাম্বার স্পাইন ও কোমরের নিচের অংশকে সেকরাল স্পাইন বলে। আমাদের মেরুদণ্ড সবচেয়ে বেশি  নড়াচড়া হয়। দুইটি অংশে ঘাড় বা সারভাই ক্যাল স্পাইন ও কোমর বা লাম্বার স্পাইন। যেহেতু সারভাই ক্যাল স্পাইনে মুভমেন্ট বা নড়াচড়া বেশি হয়, এর ফলে মেরুদণ্ডের এই অংশে হাড়ের ক্ষয় ও বেশি হয়ে থাকে। ঘাড়ের মেরুদণ্ডের এ ক্ষয় হয়ে যাওয়াকে সারভাইক্যাল স্পনভাইলোসিস বলা হয়।

লক্ষণ : ঘাড় ব্যথা এবং এ ব্যথা কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। এছাড়া কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুলে অস্বাভাবিক অনুভূতি বা অবশ ভাব হতে পারে। বাহু, হাত ও আঙুল দুর্বল অনুভূত হতে পারে। সব সময় ঘাড় ধরে বা জমে (স্টিফনেস) আছে এবং আস্তে আস্তে  ব্যথা বাড়তে থাকে। এমনকি ঘাড়ের মুভমেন্ট ও দাঁড়ানো অবস্থায় কোনো কাজ করলে ব্যথা বাড়ে। ঘাড় নিচু করে ভারি কিছু তোলা বা অতিরিক্ত কাজের পর তীক্ষ ব্যথা।

ডা. এম ইয়াছিন আলী

চেয়ারম্যান, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর