আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির সঙ্গে তার বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। গতকাল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যারা এই গর্হিত কাজ করে শঠতার পরিচয় দিয়েছেন, তাদের আমি খুঁজে বের করবই। দেশের মানুষের মনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি কাটাতে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব আমাকেই নিতে হবে।’ গত ৩০ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষে এম এ লতিফের শরীরের অংশের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডল জুড়ে দিয়ে বেশ কিছু ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো হয় নগরীতে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাকে প্রথমবার জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকে একটি মহল তার বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে। সাত বছর ধরে মহলটি তাকে নানাভাবে হেনস্তা ও ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটাও তাদেরই কাজ। এম এ লতিফ বলেন, যারা রাজনীতি করেও দেশ ও জনগণের কোনো উপকার বা ভালো কাজ করেনি তারাই নেত্রীর কাছাকাছি যেতে না পেরে উল্টো তাকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে নেত্রীর কাছ থেকে সরাতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমার শরীরকে বঙ্গবন্ধুর মাথার সঙ্গে জুড়ে আমি কোথায় কী বেনিফিট পাব? আমি নিজের ফটো দিয়ে তো আমার লেখা শ্লোকগুলো ব্যবহার করতে পারতাম। তা না করে কেন শুধু শুধু বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডলের সঙ্গে নিজের ছবি লাগিয়ে দিয়ে বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিতে যাব।
কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এ ধরনের কাজ করতে যাবে না।
বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডলের সঙ্গে নিজের শরীরের অংশজুড়ে দেওয়ার বিষয়ে নিজের কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও ওসব বিতর্কিত ফেস্টুনে-ব্যানারে ব্যবহূত কাব্যিক শ্লোকগুলো তারই রচিত বলে জানান এম এ লতিফ।কেন ওই মহলটি আপনার পেছনে লেগে আছে? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বন্দর সচল রাখতে চাই। বন্দরের উন্নয়ন চাই। সে কারণে তারা আমার পেছনে লেগে আছে।’
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে আমার পোস্টার ছিল, পুরো ঢাকা শহরে পোস্টার ছিল। নিজের প্রচার করতে চাইলে সেসব পোস্টারে আমি নিজের ছবি ব্যবহার করতে পারতাম। কই, আমি তো বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কারও ছবি ব্যবহার করিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিম ও সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ।