রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

গণজাগরণ মঞ্চের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দুই দিনব্যাপী উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল বিকালে আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও শাহবাগের গান পরিবেশন করা হয়। বিকাল ৪টায় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বৈষম্যহ্যীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, কোন পথে আমরা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত, অধ্যাপক অজয় রায়, ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশতাক হোসেন, ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি জনার্দন দত্ত নান্টু প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে চারটি বিভাগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও শাহবাগের পরিবেশনা।

সমাবেশে ঢাবি উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পথ ধরেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সুশিক্ষাই এর একমাত্র পথ।

ড. অজয় রায় বলেন, আমরা এই ক্রান্তিলগ্নে মৌলবাদীদের খপ্পরে পড়েছি। জনগণ সচেতন হলে দেশকে রক্ষা করতে পারব।

আবুল বারকাত বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এত বছর পর আমরা উল্টো পথে যাচ্ছি। ভুল পথে যাচ্ছি। মহাবিপর্যয়ের পথে। গাঢ় অন্ধকারের পথে। তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে বেশি কথা বললে আমাদের এ কথার উত্তর দিন যে, আপনারা বাকিদের বিচার কয় বছরে করবেন? তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা দুই ধরনের। এক ধরনের হলো বাই চয়েস, যারা স্বেচ্ছায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। অন্যটি হলো বাই চান্স মুক্তিযোদ্ধা, যারা হঠাত্ সুযোগের কারণে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান ছিলেন বাই চান্স মুক্তিযোদ্ধা।’

ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, শুরু থেকেই আমরা বলছি, আমরা ন্যায়বিচারের ও মানবিক মূল্যবোধের বাংলাদেশ চাই। কিন্তু ৪৪ বছর পর এসে নির্ধারণ করতে হচ্ছে কোন পথে আমরা। দেশকে মধ্য আয়ের দেশ বলা হচ্ছে। অথচ আমরা দেখি শাহবাগে রাতের বেলা মানুষ রাস্তায় ঘুমায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর