সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
জন্মদিনের আলোচনায় বক্তারা

এবিএম মূসার অভাব তীব্রভাবে অনুভব হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে গণমাধ্যম দুঃসময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। তিনি থাকলে দুঃসময়ের চিত্রগুলো কঠিনভাবে উচ্চারণ করতে পারতেন। এ সময়ে এবিএম মূসার মতো সাংবাদিকের উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন ছিল। তার অভাব তীব্রভাবে অনুভব হচ্ছে। মরহুম এবিএম মূসার ৮৫তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন। এবিএম মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশন এর আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক কামাল লোহানী, আবদুর রহিম, মাহফুজউল্লাহ, শামসুদ্দিন আহম্মেদ, সোহরাব হাসান, ফরিদা ইয়াসমিন, শিরিন আখতার এমপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, এবিএম মূসার মেজ কন্যা পারভীন সুলতানা ঝুমা, ছোট জামাতা ব্যারিস্টার আফতাব উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাসান হাফিজ।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, যে মতেরই হোক না কেন সবার পাশে দাঁড়াতেন মূসা ভাই। এমন গুণের মানুষ এখন খুবই কম। সাহসিকতার সঙ্গে মূসা ভাইরা তাদের সময়ের সমস্যা মোকাবিলা করেছেন। আজ আমরা তাকে অনুসরণ-অনুকরণ করতে পারছি না। তিনি বলেন, আমরা নিজেরাই দুঃসময় সৃষ্টি করছি। নিজেদের স্বার্থে কখনো কখনো স্বৈরাচার ও অসাংবিধানিক সরকারকে স্বাগত জানাতেও দ্বিধা করিনি আমরা। রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ার কারণে এটা হচ্ছে।

কামাল লোহানী বলেন, আইয়ুব সরকারের আমলেও সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সে আমলেও এবিএম মূসা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। পাকিস্তান আমলে বাংলায় গাড়ির নম্বর প্লেট লেখা হতো না। এবিএম মূসা সর্বপ্রথম বাংলায় গাড়ির নম্বর লেখেন। সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে অসুস্থ শরীর নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন।

মাহফুজউল্লাহ বলেন, গণমাধ্যমের দুঃসময় যাচ্ছে। এ সময়ে মূসা ভাইয়ের উপস্থিতি দরকার ছিল। তিনি থাকলে গণমাধ্যমের দুঃসময়ের চিত্রগুলো কঠিনভাবে উচ্চারণ করতে পারতেন। বর্তমানে গণমাধ্যম তার অভাব তীব্রভাবে অনুভব করছি। ফরিদা ইয়াসমিন স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছোটদের প্রতি এবিএম মূসার স্নেহ-ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম। অভিভাবকের মতো ছোটদের উপদেশ দিতেন। জাতীয় প্রেসক্লাব ছিল তার সেকেন্ড হোম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর