বেসরকারি একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকাকালে আবদুস সালাম ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এমনই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। অপরাধের প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়ায় গতকাল মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। আজ তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হতে পারে।
অনুমোদনের পর জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে ইটিভির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এ-সংক্রান্ত তথ্য উঠে এসেছে। ইটিভির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে তিনি এই অর্থ আত্মসাৎ করেন। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, আবদুস সালামের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির সূত্র জানায়, ইটিভির বিজনেস প্রমোশন, লিগ্যাল, বিনোদনসহ বিভিন্ন খাতে ভুয়া বিল দেখিয়ে আবদুস সালাম প্রায় ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানকালে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ইটিভি কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করে আত্মসাতের এসব তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। এ ছাড়া ইটিভির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম তথ্য গোপন করে বিদেশি কোম্পানি সিটিকপ-এর নামে থাকা ইটিভির শেয়ার স্থানান্তরের অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন। এ অভিযোগটি বর্তমানে অনুসন্ধানাধীন। অনুসন্ধানটি তদারক করছেন পরিচালক মো. নূর আহম্মদ। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার হয়ে আবদুস সালাম কারাগারে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, পর্নোগ্রাফির মামলায় ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি আবদুস সালামকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর এক নারী বাদী হয়ে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই মামলা করেন। এরপর ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আবদুস সালামসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরও একটি মামলা করা হয়।
