রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সৈয়দের দায়িত্ব নিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শান্ত

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সৈয়দের আমৃত্যু চিকিৎসার ব্যয়ভারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত। তিনি সৈয়দকে আর্থিক অনুদান দেবেন বলেও ঘোষণা করেন। শান্ত হলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের ছেলে। শুক্রবার বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত শেরপুরে ধুঁকে ধঁকে বেঁচে আছেন শীর্ষক প্রতিবেদন দেখে আওয়ামী লীগ নেতা শান্ত এগিয়ে এসেছেন। প্রতিবেদনটিতে বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সৈয়দ এমদাদুল হকের করুণ কাহিনী নাড়া দেয় অসংখ্য বঙ্গবন্ধুপ্রেমীকে। আলোড়ন সৃষ্টি হয় ময়মনসিংহ বিভাগসহ সর্বত্র। শান্ত শুক্রবার রাতেই মাইক্রোবাসে করে শেরপুর থেকে নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সৈয়দকে। এনেই ভর্তি করেন নগরীর কোয়ালিটি জেনারেল হাসপাতালে। সঙ্গে রয়েছেন তার ছেলে সৈয়দ মহিদুল হক ও স্ত্রী লুত্ফুন্নেসা। গতকাল সারা দিনই বঙ্গবন্ধুর সৈয়দকে দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। সৈয়দ এমদাদুল হক বর্তমানে ওই হাসপাতালের পরিচালক ডা. জাকির হোসেনের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

 জানতে চাইলে মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কারণ যিনি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন আমি তাকে ভালোবাসি।’ জীবনের এ লগ্নে এসে এমন ভালোবাসা কেমন লাগছে? জবাবে ৯২ বছর বয়সেও দরাজ কণ্ঠের অধিকারী মুজিবের প্রিয় সৈয়দ বলেন, ‘এখন মৃত্যুর পরও আমার সার্থকতা আসবে। কারণ বংলার প্রতিটি ঘরে আমার মৃত্যুর খবর পৌঁছাবে। সে স্থানটুকু আজ আমি খুঁজে পেয়েছি বাংলাদেশ প্রতিদিনের কল্যাণে। তবে আমার শেষ ইচ্ছা হাসিনার মাথায় হাত রেখে দোয়া করা।’ বলতে বলতেই চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল জল। সৈয়দ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন মারা যান তখন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশে ছিলেন না। তারা তাদের বাবার শেষ দোয়া পাননি। আমার জীবনের শেষ দোয়া হাসিনাকে করে যেতে চাই।’

সর্বশেষ খবর