রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সেমিনার

ভারত-মিয়ানমার থেকে গ্যাস আমদানির চিন্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশীয় চাহিদা মেটাতে প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার থেকে গ্যাস আমদানির চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তবে দেশের বেসরকারি খাতও গ্যাস আমদানি করতে চাইলে সরকার সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় শিল্প খাতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সমস্যা এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম. তামিম। আরও বক্তব্য দেন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য রহমান মুর্শেদ, ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন ড. এম শামসুল আলম, বাংলাদেশ নিট প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি—বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এস এম আহসান সানি, বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার’স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) পরিচালক ইমরান করিম প্রমুখ।

সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, গ্যাস আমদানির জন্য ল্যান্ড বেসড এলএনজি টার্মিনাল করার ব্যবস্থা হচ্ছে। আমরা আশা করছি ২০১৯ সালে মাতারবাড়ী থেকে প্রথম বিদ্যুৎ পাব। জ্বালানি চাহিদা মেটাতে আগামী পাঁচ বছরে ১০০টি কূপ করা হবে। এ ব্যাপারে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নিজেদের শিল্পগুলোকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নিয়ে আসুন। জমির চিন্তা করেই এসব অঞ্চল করা হয়েছে। সেখানে কোয়ালিটি বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে প্রাইমারি ফুয়েল সাপ্লাই বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। আমরা জরিপ করে জানতে পেরেছি বর্তমানে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এ খাতে যে সাবসিডি দেওয়া হয় অনেকে তার বিরোধিতা করেন। তবে এটা সামাজিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই করা হয়।

সর্বশেষ খবর