বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

পরকীয়ার কথা জেনে ফেলায় মেয়েকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরকীয়ার বিষয় জেনে ফেলায় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে (১৩) গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফাতেমা আক্তার ও তার প্রেমিক ফাইজুদ্দিনের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ার নরসিংহপুর গ্রামে। ঘটনার পর ফাতেমা আক্তার পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী আটক করে তাকে গণপিটুনি দিয়েছে। নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস নরসিংহপুর জনাবআলী দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সে প্রবাসী হারুন অর রশিদ চানুর একমাত্র মেয়ে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী মহল দিনব্যাপী চেষ্টা-তদবির করেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। গতকাল বিকালে জান্নাতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর ফাইজুদ্দিন গা-ঢাকা দিয়েছেন।

নিহতের চাচা কাজল মিয়া বলেন, ‘আমার ছোট ভাই হারুন অর রশিদ চানু দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব প্রবাসী। তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (৩৫) উল্টাপাল্টা চলাফেরা করে আসছে। তার কার্যকলাপ আমরা বাড়ির সবাই বাধা দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু আমাদের কোনো কথাই সে শুনতে নারাজ। ফাতেমার পরকীয়া তার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস দেখে ফেলে। এর পর থেকে জান্নাত তার মায়ের পরকীয়ার বিষয়ে প্রায়ই প্রতিবাদ করে আসছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফাতেমা তার প্রেমিক একই গ্রামের ফাইজুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার গভীর রাতে গলা টিপে হত্যা করে জান্নাতুলকে।’ নিহতের চাচি বলেন, ‘প্রায় রাতেই ফাইজুদ্দিন কিছু না কিছু বায়না নিয়ে বাড়িতে আসত এবং গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান করে চলে যেত।’ নিহতের দাদি বলেন, ‘আমার নাতনি জান্নাত তার মায়ের অবৈধ সম্পর্কে বাধা দিত। আর এই বাধাই তার জীবনের কাল হয়েছে।’

বাসিন্দাদের একাধিক সূত্র জানায়, জান্নাতের মা ফাতেমার সঙ্গে শুধু ফাইজুদ্দিনের সম্পর্ক তা নয়, কাপাসিয়া থানার এসআই রাসেলসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। তবে এসআই রাসেল বিষয়টি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, এ ঘটনায় এ পর্যন্ত একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর