বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্য প্রতিদিন

নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে এ দিনটি। ডায়াবেটিস বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস (১৪ নভেম্বর) বহাল থাকতেও এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ডায়াবেটিসকেই। বর্তমানে ডায়াবেটিসকে নীরব ঘাতকও বলা হয়ে থাকে। এ থেকে সহজেই বুঝে ওঠা যায় যে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের ফোকাস হিসেবে ডায়াবেটিসকে বেছে নেওয়ার পেছনে কাজ করছে তিনটি বিষয়।—১. নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বৃদ্ধি এবং মানবজীবনে রোগটির বড় বোঝা হয়ে ওঠা ও তার পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা। ২. ডায়াবেটিসকে মোকাবিলার জন্য সুনির্দিষ্ট, কার্যকর ও সাশ্রয়ী উপায় নির্ধারণ করা। যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও যত্নে কাজে আসবে। ৩. ডায়াবেটিসের ওপরে প্রথম গ্লোবাল রিপোর্ট উপস্থাপন যা মানবজীবনে রোগটির বড় বোঝা হয়ে ওঠা ও তার পরিণতি সম্পর্কে জানাবে। স্বাস্থ্যরীতি উন্নয়নে নজরদারি নিশ্চিত করবে, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাবে এবং ডায়াবেটিসের কার্যকর ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলবে। পৃথিবী দিন দিন আধুনিকতা বা নগরায়ণ বা সভ্যতার দিকে এগোচ্ছে। এর অন্যতম কুফল হচ্ছে স্ট্রেস। সেই স্ট্রেসের জন্যই আজ বেড়ে চলছে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও করোনারি আর্টারি ব্লকেজ। প্রচলিত চিকিৎসায় নিয়ম-কানুন যথা শারীরিক ব্যায়াম, খাদ্যাভ্যাস ও ওষুধ দিয়ে শুধু শারীরিক উন্নতি ঘটে। কিন্তু আধ্যাত্মিক ও মানসিক উন্নতির কোনো চেষ্টা করা হয় না এবং স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমানোর ব্যাপারেও তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে হলিস্টিক পদ্ধতি হলো হোল-বডি অর্থাৎ সব শরীরের উন্নতি যথা আত্মা, মন ও দেহের। আত্মা মন ও দেহের উন্নতির মাধ্যমে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা সম্ভব। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য এ পদ্ধতি অনেক এগিয়েছে। চিকিৎসার মূল চাবিকাঠি হলো— লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন, মানসিক চাপ কমানোর কৌশল,  যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, নিউরোবিক জিম ও আকুপ্রেসার। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানসিক চাপই মানুষের যে কোনো অসুখ ও অশান্তির অন্যতম কারণ। তাই যে কোনো মানসিক চাপ কমানোর বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস,

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সিইও, হলিস্টিক হেলথ কেয়ার, পান্থপথ, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর