বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

সংলাপ-সমঝোতায় নতুন নির্বাচন দিন

------- মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের দুর্নীতি, দমননীতি, তনু হত্যা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতেই সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার যখন বড় কোনো ঘটনা ঘটায়, ঠিক তখনই ওটাকে ধামাচাপা দিতে আরেকটি বড় ঘটনা ঘটায়। প্রতিহিংসা ও চক্রান্তের রাজনীতি পরিহার করে সমঝোতা-সংলাপের মধ্য দিয়ে দেশে নতুন নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচন এখন সময়ের দাবি। তিনি আরও বলেন, দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট দূর করতে সমঝোতা সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। তাই আসুন, আমরা এ পথেই সুন্দর সমঝোতামূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলি। গতকাল দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। কারারুদ্ধ প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে দায়ের মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ন্য্যাশনাল পিপলস পার্টি। জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপি নেতা নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, তনু হত্যা ও রিজার্ভ চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতেই শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করেছে সরকার। এর আগে বিডিআর হত্যা, শেয়ারবাজার ধস, হলমার্ক কেলেংকারি, ডেসটিনি দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, সব শেষে তনু হত্যা ও ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনাও ঘটিয়েছে সরকার। জয় অপহরণ ও হত্যা চক্রান্তে মাহমুদুর রহমানকে জড়ানোর সমালোচনা করে মির্জা আলমগীর বলেন, একই কারণে সবগুলো মামলায় জামিন পাওয়ার পরও একটার পর একটা মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হচ্ছে। নতুন করে এই মামলায় যে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর চেষ্টা চলছে, এর কোনো ভিত্তি নেই। বানোয়াট একটি মামলা তৈরি করা হয়েছে। মার্কিন পত্রিকা ‘দ্য ওয়্যার’ এ পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, শফিক রেহমান গ্রেফতারের অভিযোগের সঙ্গে মার্কিন আদালতের নথির কোনো মিল নেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তার দল প্রতিহিংসা ও চক্রান্তের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে চাই। কিন্তু ভোটারবিহীন নির্বাচনে গঠিত সরকার গণতন্ত্রের মুখোশ পরে দেশে পুরোপুরি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে। এতে গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস হচ্ছে। এককালের পুরনো রাজনীতিক দল আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজেরাই গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।

গণতন্ত্রের সব দরজা জানালা বন্ধ করে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে তারা। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দিক থেকে সম্পূর্ণ দেউলিয়া। জনসমর্থনহীন সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে শফিক রেহমানসহ দেশের খ্যাতিমান সাংবাদিক ও রাজনীতিকদের মিথ্যা অভিযোগের মামলায় হয়রানি এবং নির্যাতন করছে।

সর্বশেষ খবর