সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্য প্রতিদিন

ডায়াবেটিস ও আলুর সম্পর্ক

ডায়াবেটিস ও আলুর সম্পর্ক

ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারকে আমরা তিন শ্রেণিতে ভাগ করি। ভাত, আলু ইত্যাদি কমপ্লেক্স কার্বহাইড্রেট বেশি পরিমাণে খাওয়া যায়। চর্বি জাতীয় খাবার চিনি ও গ্লুকোজ না খাওয়া ভাল। দুধ, মাংস, মাংস জাতীয় খাবার যত কম তত ভালো। কোন খাবার খেলে রক্তে কতটুকু গ্লুকোজ বাড়ে ওই খাবারের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স দিয়ে তা বোঝা যায়। সে খাবারের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স যত বেশি সেই খাবার তত বেশি গ্লুকোজ বাড়ায়। ভাত ও আলু দুটাই হাই ইন্ডেক্স খাবার। লাল চালের ভাত, মধু, আলু পাকা কলা, পাকা আম, পাকা পেঁপের গ্লািইসেমিক ইন্ডেক্স ৮০ থেকে ৯০। সাদা চালের ভাত, কর্ন, ফ্লেকস, আইসক্রিমের ইনেডেক্স ১০০। আলু, গাজর, অ্যাপিকটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স  ৮০-৯০, গম, শিমের বীচির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭০-৯০, কমলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৪০-৪৯, আপেল, ফ্যাট ফ্রি দুধ-এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৩০-৩৯।

রক গ্লুকোজ বাড়ানোর ক্ষমতা অনুসারে আগে খাদ্যদ্রব্যকে কমপ্লেক্স ও সিম্পল এ দুই ভাগে ভাগ করা হত, এখন গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড দিয়ে খাদ্যের গ্লুকোজ বাড়ানোর ক্যাপাসিটি নির্ণয় করা হয়। কোন একটা খাবারের যে পরিমাণে ৫০ গ্রাম কার্বহাইড্রেট থাকে এবং সেই পরিমাণ খাবার খেলে ওই খাবার রক্তে যতটুকু গ্লুকোজ বাড়ায় তার সঙ্গে ৫০ গ্রাম পিওর গ্লুকোজ খেলে রক যে পরিমাণ গ্লুকোজ বাড়ে সেটার তুলনাই হল গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স।  সার্বিক বিবেচনায় খাদ্য হিসেবে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য আলু খারাপ নয়। তবে আলু কিভাবে পরিবেশন হচ্ছে সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

ডা. শাহজাদা সেলিম, সহকারী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বিএসএমএমইউ, ঢাকা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর