বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্যপ্রতিদিন

ফ্রোজেন সোল্ডারে কী করবেন

ফ্রোজেন সোল্ডারে কী করবেন

চল্লিশোর্ধ্ব যে কোনো নারী-পুরুষ কাঁধে ব্যথা বা ফ্রোজেন সোল্ডারে আক্রান্ত হতে পারেন। ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে কাঁধে ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। ফ্রোজেন সোল্ডার শব্দটি খুব প্রচলিত হলেও সব কাঁধে ব্যথাই ফ্রোজেন সোল্ডার না। কাঁধে ব্যথার রোগীরা রাতে ঘুমাতে পারেন না, এপাশ ওপাশ হতে গেলে ব্যথায় ঘুম ভেঙে যায়। শার্ট বা জামা পড়তে অসুবিধা হয়। ঠিকমতো টয়লেটিং করতে পারেন না। কোনো বস্তু হাত দিয়ে ধরতে গেলে আক্রান্ত কাঁধে হঠাৎ ঝলকানির মতো ব্যথা অনুভূত হয়। কোনো কোনো রোগী হাত অবশ হয়ে আসার কথাও বলেন। ব্যথার তীব্রতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। ব্যথা শুরু হওয়ার দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে তীব্রতা চরম আকার ধারণ করে। কাঁধে ব্যথার ধরন নির্ণয়ে শারীরিক পরীক্ষাই যথেষ্ট। তবে কাঁধ ও ঘাড়ের এক্স-রে ও কিছু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। ঠিক কোন মাংসপেশিটি আক্রান্ত তা নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন।  ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পেতে রোগীকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। যারা ব্যথা শুরু হওয়ার প্রারম্ভে চিকিৎসকের কাছে আসেন তারা দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন। যারা তীব্র ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসেন তাদের ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পেতে মাসব্যাপী বা তারও বেশি চিকিৎসা নিতে হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে ইন্ট্রা আর্টিকুলার ইনজেকশন প্রয়োজন। কাঁধ ব্যথায় ইলেকট্রোথেরাপি ও ম্যানিপুলেশন থেরাপির সমন্বিত চিকিৎসা অবশ্যই প্রয়োজন।

ডা. মোহাম্মদ আলী

পরিচালক ও চিফ কনসালট্যান্ট, এইচপিআরসি, উত্তরা, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর