ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জের ধরে গতকালও বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

মাদারীপুর : নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে গতকাল সকালে মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার ছয়না গ্রামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে। পরে পুলিশ ৬ জনকে আটক করে। আহতদের মাদারীপুরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া : নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক সেনাসদস্য বাহার মিয়াকে (৪৫) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বাহার মিয়া নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের হাজী নাসির মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ওই গ্রামের শাফি মিয়ার ছেলে মামুনকে (৩০) আটক করেছে। নিহতের স্বজনরা জানান, দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের সময় নিহতের চাচাতো ভাই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কবীর হোসেনের সঙ্গে ওই এলাকার এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরোধ ছিল। এর জের ধরে নির্বাচনের পরের দিন দুই প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে গুলি বর্ষণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় নিহত বাহার মিয়াকে আসামি করা হয়। এ অবস্থায় গত সোমবার রাত ১০টায় শহরের ফুলবাড়িয়ার নির্ঝর স্কুলসংলগ্ন বাসা থেকে ডেকে নেয় মামুন। কুষ্টিয়া : খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নে তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে জাসদ নেতা-কর্মী ও তাদের সমর্থকদের ওপর নানাভাবে হয়রানি; নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে গতকাল সকালে ওই ইউনিয়নের জাসদ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নূরজাহান বেগম এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন।