শিরোনাম
রবিবার, ৮ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

সহায়তা পেলে কয়েক হাজার টন মত্স্যবর্জ্য রপ্তানি সম্ভব

---------- হোসেন জিল্লুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সহায়তা পেলে প্রতি বছর কয়েক হাজার টন মত্স্যবর্জ্য রপ্তানি করা সম্ভব। মত্স্যবর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে ওষুধ, চামড়া, মাছের খাদ্য হিসেবে পুনর্ব্যবহার করা যায়। মাছের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুটি উপকারী দিক আছে। এক. জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি থেকে এটি আমাদের রক্ষা করবে, দুই. ভবিষ্যৎ খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। গতকাল রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে মত্স্য ও চিংড়ির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক এক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে বছরে ৯৩ হাজার মেট্রিক টন মত্স্য ও চিংড়িবর্জ্য তৈরি হয়। মাত্র ৯০০ মেট্রিক টন বর্জ্য আমরা ব্যবহার করতে পারি। প্রতি মেট্রিক টন মত্স্যবর্জ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ১ হাজার ডলার। সম্ভাবনাময় এ খাতের বিস্তার হলে বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে। সঠিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে অর্জন হবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মত্স্যবর্জ্য সম্পর্কে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ শ্রিম্প অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশনের (বিএসএফএফ) চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনিসুর রহমান, ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফিয়া ওবার্ট, মত্স্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ, বিএসএফএফ চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর