বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

এনজিওর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিধান রেখে বিল চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সংবিধান বা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না। কোনো এনজিও সেটা করতে পারবে না। কেউ সংবিধান বা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে অশালীন বা অশোভন মন্তব্য করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। নিবন্ধন বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে সরকার চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারবে। সংসদ ভবনে গতকাল কমিটির বৈঠক শেষে সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব জানান তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আবদুল মতিন খসরু, বেগম সাহারা খাতুন, মো. শামসুল হক টুকু, তালুকদার মো. ইউনুস, অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউল হক মৃধা ও সফুরা বেগম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ আমন্ত্রণে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আহ্বায়ক ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সাব-কমিটি’ বেগম রেবেকা মমিন ও সাব-কমিটির সদস্য হুইপ মোছা. মাহবুব আরা বেগম গিনি এবং বিভিন্ন এনজিও এর প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে এই বিল পাস হলে টিআইবিসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো সংবিধান বা বিচার বিভাগ নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ দিতে পারবে কিনা তা জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে কমিটির সভাপতি বলেন, সমালোচনা করা যাবে, তবে গালি-গালাজ করা যাবে না। পার্লামেন্ট সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাকে সম্মান দিতে হবে। সংবিধান বা সাংবিধান প্রতিষ্ঠান নিয়ে যা ইচ্ছে তাই মন্তব্য করা যাবে না।

কমিটি সূত্রে জানা যায়, বিলে বলা হয়েছে, একটি এনজিও ১০ বছরের জন্য নিবন্ধন পাবে। তবে আইন অমান্য করলে যে কোনো সময় নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করা যাবে। এনজিওতে বিদেশি উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি ছাড় নিতে হবে। এনজিওবিষয়ক ব্যুরো এসব বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে। আইন না মানলে প্রথমে সতর্ক করা হবে। নিবন্ধন বাতিল ও জরিমানার বিধানও আইনে রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া প্রস্তাবিত আইনে জাতীয় সংসদ বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সুপ্রিমকোর্টের বিচারকসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারী, এ আইনের অধীন নিবন্ধিত এনজিও বা সংস্থার কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তালিকাভুক্ত কিংবা নিষিদ্ধ ব্যক্তি বা সংগঠন বিদেশি অনুদান নিতে পারবে না বলেও প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর