ভাষাসংগ্রামী, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের অগ্রসৈনিক আহমদ রফিক রচিত রবীন্দ্রবিষয়ক তিনটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে অন্যপ্রকাশ। এর মধ্যে দুটি মৌলিক গ্রন্থ ‘শিশুদের রবীন্দ্রনাথ’ ও ‘কিশোরদের রবীন্দ্রনাথ’ এবং অন্যটি পূর্বপ্রকাশিত প্রবন্ধের বই ‘নির্বাচিত রবীন্দ্রনাথ’। গতকাল বিকালে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনালয়ে এ গ্রন্থগুলোর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গ্রন্থবিষয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ ও জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম।
অনুভূতি প্রকাশ করেন বইগুলোর লেখক আহমদ রফিক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘ছোটদের জন্য লেখা অত্যন্ত কঠিন। রবীন্দ্রনাথকে আমাদের শিশুদের উপলব্ধিতে আনার জন্য আহমদ রফিক সেই কঠিন কাজটি করেছেন। রবীন্দ্রনাথ আমাদের মাঝে যত বেশি আলোচিত হবে, আমরা ততই উপকৃত হব।’
ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন ‘বাঙালি তিনবার জেগেছে। প্রথমবার উনিশ শতকে। এ শতকের বাঙালির বুদ্ধিভিক্তিক চর্চার অন্যতম পুরুষ রবীন্দ্রনাথ। দ্বিতীয়টি হলো বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। এ সময়ে যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এ গ্রন্থগুলোর লেখক আহমদ রফিক তাদের একজন। সর্বশেষ জাগরণ— ১৯৭১। এ জাগরণে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শিশুদের মেধাবী করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। ওইসব মেধাবী প্রজন্ম যদি বাঙালির প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথকে না জানে তাহলে এ মেধা আমাদের কোনো কাজে আসবে না।’
অনুভূতি প্রকাশে বইগুলোর রচয়িতা আহমদ রফিক বলেন, ‘প্রাত্যহিক জীবনে কিছুটা ছন্দপতন ঘটিয়ে এবং অন্যান্য লেখা বাদ দিয়ে দেড় মাসের মধ্যে গ্রন্থ দুটির কাজ শেষ করেছি। প্রত্যাশা রাখছি, আমার আন্তরিক শ্রমের ব্যত্যয় ঘটবে না।’