বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘টু ফিঙ্গার’ পদ্ধতি বাহুল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ষণের শিকার নারীর মেডিকেল পরীক্ষায় ‘টু ফিঙ্গার’ পদ্ধতি অপ্রয়োজনীয় বলে হাইকোর্টে অভিমত দিয়েছেন পাঁচ ফরেনসিক মেডিকেল বিশেষজ্ঞ। তারা মৌখিকভাবে আদালতে বলেছেন, এ পদ্ধতি সেকেলে। যৌন নির্যাতনের পরীক্ষার আধুনিক অনেক পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে। ‘টু ফিঙ্গার’ পদ্ধতি অনৈতিক। তবে আদালত বলেছে, ‘টু ফিঙ্গার পদ্ধতি বাদ দিলে প্রকৃত দোষী বেরিয়ে যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। আপনারা বিশেষজ্ঞ। সুতরাং আপনাদের ভেবেচিন্তে মতামত দিতে হবে।’ বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চে গতকাল চিকিৎসক ও আদালতের মধ্যে এ কথোপকথন হয়েছে। শুনানিতে বিশেষজ্ঞরা লিখিত মতামত দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে তিন মাস সময় চেয়েছেন। পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছে আদালত। হাইকোর্টে যারা মতামত দিয়েছেন তারা হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক প্রধান ডা. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী, একই হাসপাতালের ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনও প্রোফাইল ল্যাবরেটরির প্রধান ডা. সাফিউর আখতারুজ্জামান, মিরপুরের ডেল্টা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. জাহিদুল করিম আহমেদ, বারডেম হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিনের প্রফেসর ডা. গুলশান আরা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন অব ল মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুজাহিরুল হক।

৭ আগস্ট এক আদেশে পাঁচ চিকিৎসককে ১৬ আগস্ট আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। এ নির্দেশে নির্ধারিত দিনে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা আদালতে হাজির হন। আদালত তাদের মতামত জানতে চায়। এ সময় তারা মৌখিকভাবে তাদের মতামত দেন।

এ সময় আদালত বলে, ‘আইনগতভাবে পদ্ধতিটি আপাতদৃষ্টিতে বৈধ বলে মনে হবে। তবে এ পদ্ধতিও এক ধরনের ধর্ষণ কিনা তা চিন্তা করতে হবে।

সর্বশেষ খবর