রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

শেখ হাসিনাকে হত্যা করতেই গ্রেনেড হামলা

-------------------------------- আমু

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতেই ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। যারা দেশের স্বাধীনতা চায় না, তারাই গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। ব্যক্তি ও পরিবারের বিরুদ্ধে নয়, বরং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বার বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে শিল্পকলা একাডেমির ৬ নম্বর গ্যালারিতে যুবলীগ আয়োজিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতদের স্মরণে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমির হোসেন আমু বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি কনফেডারেশন তৈরি করা। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মেনে নিতে পারেনি, তারাই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তায় ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতক চক্র এ দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ জনগণের মন থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার কালজয়ী আদর্শ ও নেতৃত্বের জন্য ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে রয়েছেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র জাতি সোচ্চার উল্লেখ করে আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গ্রাম-গঞ্জে সাধারণ মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গি নাশকতার মাস্টারমাইন্ড হলেন তারেক-খালেদা জিয়া। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন যেমন জিয়াউর রহমান। তেমন হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা, শোলাকিয়া হামলাসহ সব জঙ্গি নাশকতার পরিকল্পনাকারী হলেন তারেক-খালেদা জিয়া।

সভায় আরও বক্তব্য দেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মাহবুবুর রহমান হিরণ, ফারুক হোসেন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, আনোয়ারুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর