প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণির বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফিসহ বিভিন্ন ফি নেওয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপনের পর গতকাল বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। এই ফি নেওয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষাসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত ২ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বৃত্তিপ্রাপ্তদের কাছ থেকেও টিউশন ফি আদায়! নির্দেশ মানছে না অনেক দামি স্কুল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আমীর হোসেন। এরপর আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষায় বৃত্তি পাবে তাদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করা যাবে না—সরকারের এমন কঠোর নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না বেসরকারি নামি স্কুলগুলো। ভর্তি ফি, নিবন্ধন ফি, উন্নয়ন ফি, টিউশন ফিসহ সব ধরনের ফি-ই বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করছে এসব প্রতিষ্ঠান। ফলে বৃত্তি পাওয়ার মাধ্যমে ততটা আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে না স্বীকৃত এসব মেধাবীরা। রাজধানীর ভিকারুন্নিসা নূন, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন নামি প্রতিষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পুরো মাসিক বেতন (টিউশন ফি) দিতে হচ্ছে। রাজধানীর বাইরেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই প্রবণতা রয়েছে।
রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুলসহ অনেক স্কুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের কাছ থেকে অর্ধেক টিউশন ফি আদায় করা হচ্ছে।