মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিনের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন এবং বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ। ডিএজি মো. বশির উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়। এর আগে ৯ অক্টোবর এমপি রানার জামিনের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে হাইকোর্ট। ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রানার জামিনের আবেদন নাকচ হয়। এর বিরদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আসেন। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ স্থানীয় কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ফারুকের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় পরে এমপি রানাকে আসামি করা হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।