শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার ১৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত সংখ্যার ৫ম পৃষ্ঠায় অযত্ন অবহেলায় বধ্যভূমি শীর্ষক প্রতিবেদনের সাব-হেডে ‘বধ্যভূমির জায়গায় পাকা স্থাপনা’ সম্পর্কিত যে সংবাদ আমাকে জড়িয়ে প্রকাশিত হয়েছে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদটি প্রকাশের পূর্বে উল্লেখিত স্থানের পার্শবর্তী কোনো লোকজনের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করে এবং আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রকাশ করেছেন। কেননা নির্বাচনী প্রচারে আমি সর্বদা এলাকায় অবস্থান করছি এবং মোবাইল ফোন সার্বক্ষণিক সচল রয়েছে। আমাকে ফোন করে পাওয়া যায়নি এরকম তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট।

এ বিষয়ে  আমার সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক পরে ওই জমি আমি খরিদ করে ১৯৮৮ সালে বাড়ী করি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত আমি কখনোই শুনি নাই ওইখানে কোন বধ্যভূমি ছিল বা আছে। সরকারি বা বেসরকারিভাবে স্থানটিকে বধ্যভূমি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি। ২০১৪ সালের পর থেকে কিছু লোকের আলাপ আলোচনায় বিষয়টি জানতে পারি। এরপর আমি এলাকার খোঁজখবর নিয়ে কোনো বধ্যভূমির সত্যতা পাইনি। তবে শুনেছি ইন্দুরহাট আক্রমণের দিন পাকবাহিনী বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে মানুষ হত্যা করেছে। এমন কাউকে হত্যা করে থাকতে পারে। তবে তার কোনো নির্দিষ্ট নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাছাড়া প্রতিবেদনে যে ডোবার কথা বলা হয়েছে তা আমার নির্মিত স্থাপনার বাইরে। তারপরেও যদি ওই স্থানটি বধ্যভূমি হিসেবে চিহ্নিত হয় তাতে আমার কোনো আপত্তি থাকবে না। কারণ আমি স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বধ্যভূমি বা মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতি সংরক্ষণ করা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি বিশ্বাস করি। সুতরাং আমি ওই প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দাসহ প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 

অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলম

সাবেক সংসদ সদস্য

পিরোজপুর-২।

সর্বশেষ খবর