বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

১২ বরেণ্য ব্যক্তিকে সম্মাননা দিল ‘হুজ হু’

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বরেণ্য ১২ গুণী ব্যক্তিকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ‘হুজ হু বাংলাদেশ ২০১৬’ পদক প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, ক্রীড়া, কৃষি, সাংবাদিকতা, বাণিজ্য ও নারী উদ্যোক্তাদের এ পদক প্রদান করা হয়। গতকাল রাজধানীর হোটেল র‍্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গুণীজনদের হাতে পদক তুলে দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও হুজ হু বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. এ কে আবদুল মোমেন, হুজ হু বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী পরিচালক নাজিনুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক এস এম আলতাফ হোসেন, পরিচালক রুখসানা রহমান, পরিচালক এনামুল হক এনাম প্রমুখ।

এ বছর আজীবন সম্মাননা পদক দেওয়া হয় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে। এ ছাড়া অন্য পদকপ্রাপ্তরা হলেন সামাজিক কর্মকাণ্ডে স্যার ফজলে হাসান আবেদ, সাংবাদিকতায় তোয়াব খান, শিক্ষাক্ষেত্রে প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, কৃষিতে শাইখ সিরাজ, শিল্প ও সংস্কৃতিতে সানজিদা খাতুন, শিল্প ও সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, ক্রীড়াক্ষেত্রে আকরাম খান, শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে রহিম আফরোজ গ্রুপের পরিচালক নিয়াজ রহিম, উদ্যোক্তা হিসেবে এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিস-উদ্দৌলা, নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ইউনিভারসেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী, প্রবাসী বাংলাদেশি বিভাগে ব্যারিস্টার মোয়ার হোসেন।

উল্লেখ্য, ‘হুজ হু’ ১৮৪৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনুকরণীয় গুণীজনদের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ ও পদক প্রদান করে আসছে। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৩৩ হাজার গুণীজনের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বাংলাদেশে এবারই প্রথম ‘হুজ হু বাংলাদেশ ২০১৬’ পদক প্রদান করা হলো। এখন থেকে প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে এ পদক প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, যারা এ সম্মাননা পেয়েছেন তাদের এটা প্রাপ্য ছিল। ৭৬ বছর আগে হুজ হু বাংলাদেশের গুণীজনদের নিয়ে একটা বই প্রকাশ করেছিল। আজ যারা সম্মাননা পেলেন, তারা আরও উৎসাহিত হবেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এই গুণীজনদের সংবর্ধনা বাংলাদেশের জন্য গর্বের। গত ৪৫ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। আজকের গুণীজনদের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন ভবিষৎ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে।

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, হুজ হু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এমন সম্মাননা পেয়ে আমি আনন্দিত।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, ‘এ ধরনের সম্মাননা পেলে আমাদের কর্মীরা উৎসাহিত হয়।’

আকরাম খান বলেন, ‘সাধারণত আমদের দেশে এ ধরনের সম্মাননা মৃত্যুর পর দেওয়া হয়। আজ জীবিত অবস্থায় দেওয়ায় আয়োজকদের ধন্যবাদ।’ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর