বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
জেলা পরিষদ নির্বাচন

দুই এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রতিদিন ডেস্ক

এজেন্টকে দেখিয়ে সিল মারার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পিরোজপুরে। এতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে ভোটারদের মনে। সুনামগঞ্জে দুই এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। কক্সবাজারে সংরক্ষিত এক আসনে চার আওয়ামী লীগ নেত্রী লড়ছেন। এ-সংক্রান্ত প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট—

পিরোজপুর : ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধের পরও ভোটাররা নানা হুমকি ও ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীদের চাপ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। প্রথমে নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দিয়ে তার ছবি মোবাইল ফোনে তুলে এনে দেখানোর নির্দেশ ছিল প্রভাবশালীদের। এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করে নির্বাচন কমিশন। এতে অনেকটা স্বস্তি পেয়েছিলেন ভোটাররা। কিন্তু এ স্বস্তি অল্প সময়ে শঙ্কায় রূপ নিল উপরের নতুন নির্দেশে। নির্দিষ্ট মার্কায় সিল দিতে হবে কেন্দ্রে থাকা ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের সামনে।

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুট আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ করেছেন। পৃথক এ দুটি অভিযোগ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠিয়েছেন তিনি। অভিযোগে বলা হয়, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক নিজ নির্বাচনী এলাকায় উপস্থিত থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল কবির ইমনের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। ইমনকে ভোট দিতে জনপ্রতিনিধির ওপর চাপ প্রয়োগ এবং টিআর, কাবিখা, কাবিটা ইত্যাদি প্রকল্পের প্রলোভন দেখাচ্ছেন মানিক।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এমপি মানিক তার ছাতকের আমেরতলের গ্রামের বাড়িতে জনপ্রতিনিধি ভোটারদের নিয়ে ইমনের পক্ষে কয়েকটি নির্বাচনী সভা করেছেন। ২৪ ডিসেম্বর বড় পরিসরে আরও একটি সভা করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

এ ছাড়া মুকুট নির্বাচন কমিশনে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে দুই সংসদ সদস্যের কেউই ফোন রিসিভ করেননি।

কক্সবাজার : জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা জমে উঠেছে। আলোচিত এই ভোটের ক্ষণ সপ্তাহখানেক বাকি থাকলেও প্রার্থীদের চোখে ঘুম নেই। রাত-দিন ৯৯৯ জন ভোটারের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৬৮ জন প্রার্থী। তবে ১০, ১১, ১২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে একই দলের চার নারী নেত্রীর নির্বাচনী প্রচারণা অন্যরকম আবহ তৈরী করেছে।

আওয়ামী ঘরানার চার নারী নেত্রী মর্যাদাকর সংরক্ষিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জিততে মরিয়া। তাই শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ফাঁকফোকর রাখতে রাজি নন তাহমিনা চৌধুরী লুনা (হরিণ), হামিদা তাহের (মাইক), শাহেনা আকতার পাখি (ফুটবল) ও রোমেনা আকতার (টেবিলঘড়ি)।

সর্বশেষ খবর