অধ্যাদেশ প্রণয়নের ৫২ বছর ও স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর পাকিস্তানমুক্ত হলো ক্যাডেট কলেজ আইন। ১৯৬৪ সালে প্রণীত ক্যাডেট কলেজ অর্ডিন্যান্স সংশোধন করে বাংলাদেশ ক্যাডেট কলেজ বিল, ২০১৭ পাস করেছে জাতীয় সংসদ। ফলে বাংলাদেশের সংবিধান ও স্বাধীন সত্তার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অধ্যাদেশের ‘পূর্ব পাকিস্তান ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান’ শব্দাবলিমুক্ত স্বাধীন দেশের উপযোগী এ আইনটি গৃহীত হয়।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে গতকাল কিছু সংশোধনীসহ কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। এর আগে বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করেন সংসদকার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনে সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠা, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কলেজ পরিচালনা পদ্ধতি, জাতীয় পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি কলেজ কর্তৃক উপযুক্ত বিষয়ে পাঠদানসহ ক্যাডেটদের প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানের অধিকার প্রদান করা হয়েছে।বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্যাডেট কলেজ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৪ দ্বারা বাংলাদেশ ক্যাডেট কলেজসমূহ পরিচালিত হচ্ছে। অর্ডিন্যান্সের মুখবন্ধে ‘পূর্ব পাকিস্তান ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান’, শব্দাবলির উল্লেখ এখনো বলবৎ রয়েছে, যা বাংলাদেশের সংবিধান ও স্বাধীন সত্তার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। বাংলাদেশ (অ্যাডাপটেশন অব এক্সিসটিং ল’স) অর্ডার, ১৯৭২ এবং বাংলাদেশ ল’স (রিভিশন অ্যান্ড ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ দ্বারা বিদ্যমান সব আইনের প্রয়োজনীয় অভিযোজন হওয়া সত্ত্বেও উল্লেখিত অধ্যাদেশে পূর্ব পাকিস্তান ও পাকিস্তান নামীয় অভিব্যক্তিসমূহ অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। বর্ণিত কারণে এবং হালনাগাদকরণের প্রয়োজনে অধ্যাদেশটি দ্রুত বাংলায় পুনঃপ্রণয়নের প্রয়োজন অনুভূত হয়। ২০ মার্চ, ২০১৬ তারিখে আইনের খসড়া চূড়ান্ত হয়। এ সময় ক্যাডেট কলেজ কেন্দ্রীয় পরিষদ ও ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদ কাঠামো পুনর্গঠন করা হয়।