একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবির আন্দোলনে ইতিহাস সৃষ্টি করা গণজাগরণ মঞ্চের ৪র্থ বর্ষপূর্তি আজ। দিনটিকে ‘জাগরণ দিবস’ হিসেব ঘোষণা দিয়ে শাহবাগে এদিন জাগরণ যাত্রা র্যালি, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ইতিহাসের কলঙ্কমোচনের দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি নিয়ে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ নতুন এক আন্দোলনের উত্থান ঘটায়। শাহবাগের সুবিশাল জনসমুদ্র থেকে সে আন্দোলন ছড়িয়ে যায় বিশ্বময়। ৪র্থ বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে গণজাগরণ মঞ্চ আন্দোলনের নতুন ঘোষণা দিয়েছে। এ ঘোষণায় সব মানুষের সমান অধিকার, সব মত-পথের মানুষের মাথা উঁচু করে বাঁচবার অধিকার, বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে বাংলাদেশ গড়ার পবিত্র প্রত্যয়ে প্রাণ দিয়েছেন এদেশের ত্রিশ লাখ মুক্তিকামী মানুষ, সেই শত বছরের সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে গণজাগরণ মঞ্চ তার আন্দোলন চালিয়ে যাবে। একইসঙ্গে শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের প্রতিটি কাঠামোকে পাকিস্তানিকরণের অপতত্পরতার বিরুদ্ধে গণজাগরণ মঞ্চ সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে।
শাহবাগ চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চের আজকের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এরপর গণজাগরণ দিবসের র্যালি ‘জাগরণ যাত্রা’। বিকালে ‘সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন, উগ্র মৌলবাদ, ’৭২ এর সংবিধান; কোন পথে বাংলাদেশ?’ শীর্ষক আলোচনাসভা এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।