স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সংসদে জানিয়েছেন, রাজধানীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ১৪টি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ। ইতিমধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট অপসারণ করে নতুন মার্কেট নির্মাণে সহযোগিতা করার জন্য মার্কেট সমিতিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এসব মার্কেট অপসারণের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মামলা হয়েছে। যে কারণে অপসারণ কাজে বিলম্ব হচ্ছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের চতুর্দশ ও শীতকালীন অধিবেশনে গতকাল টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য দেন। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মন্ত্রী জানান, ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটের মধ্যে রয়েছে গুলশান (উত্তর) পাকা মার্কেট, গুলশান (উত্তর) কাঁচা মার্কেট, গুলশান (দক্ষিণ) পাকা মার্কেট, গুলশান (দক্ষিণ) কাঁচা মার্কেট, খিলগাঁও তালতলা সুপার মার্কেট, খিলগাঁও তালতলা কাঁচা মার্কেট, কারওয়ান বাজার ১ নম্বর ভবন মার্কেট, কারওয়ান বাজার ২ নম্বর ভবন মার্কেট, কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেট, কারওয়ান বাজার কাঁচা মালের আড়ত? মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল পাকা মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচা মার্কেট, প্রান্তিক সুপার মার্কেট (গাবতলী) ও কলমিলতা কাঁচা মার্কেট।
এসব মার্কেটের বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তি ও মালিক সমিতিকে মালামালের ভার (ওজন) নিয়ন্ত্রণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতেও বলা হয়েছে।
পানির স্তর ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে সরকারি দলের শফিকুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সুপেয় পানি ও কৃষি কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর বেশি পরিমাণে নির্ভরশীলতার কারণে এই পানির স্তর ৩ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে নলকূপে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পাওয়া যায় না।