শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

সুন্দরবনকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে কাজ করতে পারে : মেনন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের ৬৫ শতাংশ বাংলাদেশে, বাকি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। ইউনেস্কোর এ ‘হেরিটেজ সাইট’কে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করতে পারে। এর মধ্য দিয়ে উভয় দেশের পর্যটনশিল্প এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বিমান ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। টোয়াব সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তৃতা করেন বিমান ও পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক, বিপিসির চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী পিএইচ, বিটিবির সিইও নাসির উদ্দীন, পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব প্রমুখ।

মন্ত্রী বলেন, ধর্মান্ধ ও উগ্রবাদীদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে পর্যটনশিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। হলি আর্টিজানের মতো ট্র্যাজেডি পেছনে ফেলে কক্সবাজারে পাটার নিউ সম্মেলন, কুয়াকাটায় বিচ কার্নিভাল উদযাপিত হয়েছে। সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে আইপিইউ সম্মেলন। আগামী ১৭ ও ১৮ মে চট্টগ্রামে ইউএনডব্লিউটিওর জয়েন্ট কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। নভেম্বরে ওআইসির মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এসব সফল আয়োজনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটনশিল্পও বিকশিত হবে।

তিনি বলেন, পর্যটন শিল্প হতে হবে টেকসই উন্নয়নের যোগসূত্র। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পর্যটনকে আরও বিকশিত করতে হবে। বর্তমান বিশ্বে পর্যটনকে শুধু বিনোদন হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রিক পর্যটন গড়ে উঠেছে। পর্যটন শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, দারিদ্র্য বিমোচনের সঙ্গে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে। গত কয়েক বছরে আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি তাতে বিদেশি পর্যটকরা বাংলাদেশে আসবেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।

পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, অভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য লালনকারী দুদেশের বাসিন্দারা একযোগে কাজ করলে দুই প্রতিবেশী দেশের পর্যটনশিল্প এগিয়ে যেতে পারে। তিনি দুদেশের মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ঢাকা-বাগডোগরা-দিঘা ফ্লাইট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মেলায় ১০টি প্যাভিলিয়ন, ১৮টি মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ১৪০টি স্টল রয়েছে। ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দুবাই, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের স্টল রয়েছে এ মেলায়। সপ্তমবারের মতো আয়োজিত এ মেলা চলবে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা।

সর্বশেষ খবর