বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

পশ্চিমবঙ্গে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় প্রায় ২০০ বাংলাদেশি নারী

কলকাতা প্রতিনিধি

দালাল চক্রের ফাঁদে পড়ে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের পর কখনো বিএসএফ, কখনো পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন প্রায় ২০০ বাংলাদেশি নারী। তাদের কারও কারও হাত বদল হয়ে ঠাঁই হয়েছিল নিষিদ্ধ পল্লীতে। পরে তাদের উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সেফ হোমে। চার বছর ধরে সেফ হোমগুলোতে অবস্থান করছেন এসব নারী। দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এই নারীরা দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব। তবে এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তারা নিজেরাই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই নারীরা বাংলাদেশের ঠিকানা বলতে পারছেন না। নয়তো বাবা-মায়ের সন্ধান দিতে পারছেন না। ফলে হোমেই কাটাতে হচ্ছে তাদের। এ ব্যাপারে গতকাল পশ্চিমবঙ্গ নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রধান সচিব রোশনি সেন জানিয়েছেন, প্রায় ২২০ জন পাচারকৃত নারীকে বিভিন্ন হোমে রাখা হয়েছে। তারা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। যদিও কিছু ঘটনা এবং আইনি জটিলতা তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রোশনি সেন বলেন, ‘পাঁচ বছরে এরকম প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি নারীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশ নারীই তাদের প্রকৃত ঠিকানা এবং বাবা-মায়ের নাম বলতে পারেনি। তবু আমরা এ প্রক্রিয়াটিকে সচল রেখে তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। কয়েকটি ক্ষেত্রে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও আমরা বাংলাদেশি নারীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি। সে ক্ষেত্রে আদালতে শুনানির সুবিধার জন্য ওই নারীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ পাচার হওয়া নারীদের নিয়ে কাজ করা পশ্চিমবঙ্গের এনজিও ‘সংলাপ’-এর কর্মকর্তা তপতী ভৌমিক বলেন, ‘পাচার হয়ে আসা একজন নারীর দেশে ফেরার যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায়ই তিন থেকে চার বছর সময় লেগে যায়। আইনি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বিশাল সংখ্যক নারীকে দীর্ঘদিন ভারতে কাটাতে হয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর