মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

তিন বিলের একটি প্রত্যাহার, একটি পাস অন্যটি উত্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সুপারিশক্রমে ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম বিল’ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংসদের সম্পূরক কার্যসূচি অনুযায়ী সংসদকার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর প্রস্তাবক্রমে বিলটি কণ্ঠভোটে প্রত্যাহার করা হয়। এর আগে ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) বিল, ২০১৭’ সংশোধিত আকারে পাস হয়। একই সঙ্গে ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৭৩’ রহিত করে ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল, ২০১৭’ উত্থাপন করা হয়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরিত হয়। দশম সংসদের ১৫তম অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে এসব বিল প্রত্যাহার, পাস ও উত্থাপিত হয়। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) বিল, ২০১৭ সংশোধিত আকারে পাস করার প্রস্তাব করেন। বিলে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম ও সেলিম উদ্দিনের দুটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। অন্য প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বিদ্যমান বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ রহিত করার বিধান করা হয়েছে। এ অধ্যাদেশের অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এমনভাবে বহাল রাখার বিধান করা হয়, যেন তা বিলের বিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়। ইনস্টিটিউটের কার্যালয় ও কেন্দ্র, ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি, কাউন্সিল থেকে দেওয়া নির্দেশনা প্রতিফলনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে। এ ছাড়া বিলে বারিকে পরিচালক নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগ, তহবিল গঠন, বাজেট প্রণয়ন, ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা, চুক্তি সম্পাদন, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল উত্থাপন : ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা পরিচালনায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৭৩ রহিত করে সংশোধনসহ পুনঃপ্রণয়নের প্রস্তাব করে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল, ২০১৭’ উত্থাপন করা হয়। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করেন।

বিলে এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এমনভাবে বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়, যা এ বিলের বিধির অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া বিলে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নিয়োগ, পরিচালক, উপদেষ্টা ও পরামর্শক নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগ, তহবিল, বাজেট, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা, কমিটি গঠন, ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা, প্রতিবেদন পেশ, চুক্তি সম্পাদন, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা, গবেষক বা প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ, ফেলোশিপ প্রদান, জনসেবক, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর